আয়কর মেলায় ৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য
আয়কর মেলা থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, প্রতিবছরই আয়কর মেলায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এ বছর মিলিয়ন ছাড়িয়ে ১২ থেকে ১৩ লাখ মানুষ কর সেবা নেবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন রাজস্ব ভবনে বৃহৎ পরিসরে আজ (১ নভেম্বর, বুধবার) থেকে শুরু হয়েছে আয়কর মেলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি মেলার উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে এ মেলার যাত্রা শুরু হয়। তখন ৬০ হাজার মানুষ কর সেবা নিয়েছে। আয় হয়েছিল ১১৩ কোটি টাকা। বছর বছর এ মেলার আয় বেড়েছে। গত বছর মেলা থেকে ৯ লাখ ২৮ হাজার মানুষ সেবা নিয়েছে এবং আয় হয়েছে ২ হাজার ১২৯ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সেবক হিসাবে কাজ করতে হবে। এ জন্য সর্বাগ্রে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদিও সর্বোপরি সুবিচার হচ্ছে না বলে প্ররিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা সর্বত্র সুবিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
সভাপতির বক্তব্যে নজিবুর রহমান বলেন, মেলায় সেবার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভবিষতে করদাতাদের জন্য কর সেবার মান আরও বাড়বে। উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো কর। এ জন্য একটি কর বান্ধব পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। নানাভাবে কর দাতাদের উৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে।
এনবিআর রাজস্ব আদায়ে ও সাধারণ মানুষের কাছে কর ভীতি কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে শেখ ফজলে ফাহিম এসব উদ্যোগ বণিক সমিতি এফবিসিসিআয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন। পরে এ প্রস্তাবে স্বীকৃতি দিয়ে ভবিষ্যতে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার সম্মতি জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
এবারের মেলায় আয়কর সংক্রান্ত সব ধরনের ফরম বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। করদাতাদের বিনা ভাড়ায় যাতায়াত সুবিধার জন্য রাজধানীর টিএসসি, বেইলি রোড, মিরপুর-২ ও উত্তরা থেকে ১৩টি শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া আয়কর মেলার বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে প্রথমবারের মতো করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের বিপরীতে ইনকাম ট্যাক্স আইডি কার্ড ও ইনকাম ট্যাক্সপেয়ার স্টিকার প্রদান করা হচ্ছে।
এমএ/আরএস/আরআইপি