ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমন্বয়হীনতায় শেয়ারবাজারে পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এসব নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয়নের অভাব রয়েছে। এই সমন্বয়হীনতার কারণে সম্প্রতি শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম সাইফুর রহমান মজুমদার।

রোববার সিএসইর ঢাকা অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ইঙ্গিত করেন। সিএসইর ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধনকে মূল ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাব থেকে অব্যাহতি দেয়ার পরও কৌশলে তা অন্তর্ভুক্ত করে হিসাব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যে কারণে সম্প্রতি কিছু ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার অতিরিক্ত হয়ে যায়। সেজন্য শেয়ারবাজারে সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করার অভিযোগে সাত ব্যাংককে জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দেয়।

এ বিষয়ে সিএসইর এমডি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে তার নীতিমালা পরিবর্তন করতে পারে। তবে আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে কিছু সমন্বয়হীনতা রয়েছে। শেয়ারবাজারের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। আর যেকোন পলিসি (নীতি) দ্রুত পরিবর্তন না করায় উচিত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংক সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিতে এতে দোষের কিছু নেই। তবে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাব কিসের ভিত্তিতে হবে তা ঠিক করতে হবে। বারবার এটা পরিবর্তন করা ঠিক না।

আব্দুল মোমেন বলেন, বড় কোম্পানির পাশাপাশি সরকারি বেশ কিছু কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে চাই না। কারণ তারা উল্টা-পাল্টা কাজ করে। শেয়ারবাজারে আসলে কোম্পানি থেকে তাদের অনৈতিক সুবিধা নেয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

ব্যাংকে টাকা জমা করে রাখা এক ধরনের অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগ না করে ব্যাংকের মাধ্যমে ডিপোজিট করে রাখা এক ধরনের ক্রাইম। কারণ এ অর্থ কোনো উৎপাদনশীল কাজ ব্যবহৃত হয় না।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসা উন্নয়নে সিএসইর বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়। এসব পরিকল্পনা সিএসইর ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা তুলে ধরেন। পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিটিং সিস্টেম পুনরায় চালু করা, স্ট্রেকহোল্ডারদের নতুন শাখা অফিস খোলার অনুমোদন দেয়া, সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন, নতুন প্রডাক্ট চালু এবং সিএসইর নিজস্ব ভবন সিএসই টাওয়ার নির্মাণ করা।

সিএসইর নিজস্ব ভবন নির্মাণের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রামের সিএসইর নিজস্ব ভবন করা হবে। এ ভবন করে ভাড়া দিলে সেখান থেকে আয় হবে। বাংলাদেশে আবাসন ব্যবসা বেশ লাভজনক।

নতুন প্রডাক্ট চালুর বিষয়ে সিএসইর এমডি জানান, ডেরিবেটিভস, ইটিএফ, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করা হবে। আর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে আইটি কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান করার বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আইনী কোনো সমস্যা আছে কিনা সে বিষয় পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ১৮ মাসের জন্য ৬ শতাংশ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এছাড়াও সিএসইর পরিচালক হিসেবে মির্জা সালমান ইস্পাহানী এবং শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

এমএএস/এমআরএম/আরআইপি

আরও পড়ুন