ফের ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে ডিএসইএক্স
টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ফের দরপতন দেখা দিয়েছে। এতে বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে।
এদিন ডিএসইতে মূল্য সূচক পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯৯৫ পয়েন্ট।
অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এদিন দরপতন হয়েছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দাম। লেনদেন হয়েছে ৬৪০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৬২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও এদিন কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল ব্যাংকখাত। লেনদেন হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে মাত্র পাঁচটির দরপতন হয়েছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ২৪টি ব্যাংকের শেয়ারের।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সাইফ পাওয়ারে শেয়ার। এদিন কোম্পানির ২৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ২৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৪৪ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ব্যাংক।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বিবিএস কেবলস, প্রিমিয়ার ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, বিডি ডটকম, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৬৬টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।
এমএএস/এমআরএম/জেআইএম