ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

৬ মাস অন্তর্বর্তীকালীন সময় পাবে অ্যাকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

মেয়াদ শেষে বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে হবে পোশাক খাতের ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডকে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা কাজ করতে চাইলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাড়তি ছয় মাস অন্তর্বর্তীকালীন সময় দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাকর্ড প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনায় অ্যাকর্ডের ১৫ সদস্যের পরিচালনা কমিটি অংশ নেয়। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি ছিলেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ মে অ্যাকর্ড ও এলায়েন্সের মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ শেষে অ্যাকর্ড বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। তবে তারা যদি মনে করে তাদের কাজ কিছুটা বাকি আছে, তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন ছয় মাস সময় বাড়ানো হতে পারে।

সভায় বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলও ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, বাণিজ্য সচিব শুভাষীস বসু, এফবিবিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, এলায়েন্স ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজ শেষ করে চলে যাবে। সরকার, বিজিএমইএ, ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আজকে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অ্যাকর্ডও যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। এরপরও কোনো কারণে দেরি হলে তাদের অন্তর্বর্তীকালিন সময় হিসেবে ছয় মাস দেয়া হয়েছে। এ ছয় মাস অ্যাকর্ডের নাম হবে ‘ট্রানজেশনাল অ্যাকর্ড’।

‘কারণ অলরেডি এলায়েন্স চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তারা ২০১৮ সালের ৩১ মে’র পর আর থাকবে না। এখন অ্যাকর্ডের ৮০ শতাংশ কাজ হয়েছে আগামী ৭ মাসে আশা করি বাকি কাজ তারা শেষ করবে। এরপর বাংলাদেশ সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে গঠিত ‘আরসিসি’ অ্যাকর্ড এবং এলায়েন্সের কাজ করবে। আরসিসি’র স্টেরিয়ার কমিটির সদস্য হবে সরকার, বিজিএমইএ, ব্র্যান্ড, আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন, আইএলও। আরসিসি’র স্টেরিয়ার কমিটির সদস্যরা আগামী জানুয়ারিতে প্র্রথম ও ৩১ মে’র আগে দ্বিতীয়বার অ্যাকর্ডের কার্যক্রম রিভিউ করবে। ওই সময় যদি দেখা যায় তাদের কাজ শেষ, তাহলে তারা চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, অ্যাকর্ড এবং এলায়েন্স বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তারাইতো ব্র্যান্ডকে সর্টিফিকেট দিয়েছে যে আমাদের কারখানাগুলোর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার সংখ্যা খুবই কম।

ইতোমধ্যেই আমাদের ৭০টি কারখানা ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’ হিসেবে কাজ শুরু করেছে। আরও ২৮০টা কাজ শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। কারখানাগুলোর একেকটায় ৫ কোটি থেকে শুরু করে ২০, ২৫ কোটি টাকার খরচ করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। যার প্রমাণ রানা প্লাজা ধ্বসের পরে ৪ বছর ৫ মাস অতিবাহিত হলেও আর কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের যত্নবানে ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন মোটামুটিভাবে সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন সরকারকে না জানিয়েই কিছু তথ্য সরবরাহ করে। এ ক্ষেত্রে আমরা একমত হয়েছি কোনো সংগঠনের যদি কারখানার শ্রমিক বিষয়ে বক্তব্য থাকে তাহলে প্রথমে সেটা শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এরাপর তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।

এমইউএস/এমএ/এএইচ/জেআইএম/আইআই