তিনদিনেই শেয়ারের দাম বাড়ল ২০০ টাকা
মাত্র তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ২০০ টাকা বেড়েছে। যা অস্বাভাবিক বলে মনে করছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করেছে ডিএসই।
ডিএসই আজ (সোমবার) জানিয়েছে, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ১৫ অক্টোবর ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টেকে নোটিশ পাঠানো হয়। জবাবে এ বিষয়ে নিজেদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তথ্য পর্যালোচনা দেখা যায়, গত ১১ অক্টোবর ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের প্রতি শেয়ারের দাম ছিল ৮৭০ টাকা ৮০ পয়সা। মাত্র দুই কার্যদিবসের ব্যবধানে ১৫ অক্টোবর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬ টাকা ৩০ পয়সায়।
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে আজ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে তথ্য প্রকাশ করল ডিএসই। তবে তা কোনো কাজেই আসছে না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম। সোমবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬২ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯ টাকা ১০ পয়সায়।
শেষ তিন কার্যদিবসে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়লেও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম টানা বাড়ছে গত ২ অক্টোবর থেকে। তবে গত ২ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এ দাম বৃদ্ধির ধারা ছিল সীমিত পরিসরে। ২ অক্টোবর ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ারের দাম ছিল ৮৫২ টাকা ৪০ পয়সা। যা ১১ অক্টোবর লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৮৭০ টাকা ৮০ পয়সায়।
প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত অর্থবছরের (২০১৬-২০১৭) প্রথম ৯ মাসে বা চলতি বছরের মার্চ শেষে মুনাফা হয়েছে মাত্র ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
এর মধ্যে গত বছরের শেষ ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মুনাফা হয় ১ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে লোকসান হয় ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) লোকসান হয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মুনাফার কোনো ধারাবাহিকতা নেই।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের মোট শেয়ারের ৫১ শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে এবং দশমিক ১০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৩ দশমিক ১৯ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারী আর ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম