ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন তবু বেড়েছে সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৭

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এরপরও বাজারটিতে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। মূলত আর্থিক খাত ও খাদ্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর কল্যাণে সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। তবে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কিছুটা কমেছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৫৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ারের দরপতন হয়েছে। আর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট। অপর বাজার সিএসইতে দরপতন হয়েছে ৫৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের এবং সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১২ পয়েন্ট।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত কয়েদিন ধরে উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বৃদ্ধি পায়। তবে রোববার প্রকৌশল, বীমা, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি গুরুত্বপূর্ণ এই খাতগুলোর পাশাপাশি ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোরও দরপতন হয়েছে।

লেনদেন হওয়া ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৪ টার দরপতন হয়েছে এবং দাম বেড়েছে ৬টির। প্রকৌশল খাতের ৩৪টির মধ্যে দরপতন হয়েছে ২১টির এবং দাম বেড়েছে ১০টির। বীমা খাতের ১২টির দাম বেড়েছে এবং কমেছে ৩২টির দাম। বস্ত্র খাতের ২৭টির দরপতন হয়েছে এবং দাম বেড়েছে ১৬টির। আর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১০টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ৬টির দাম।

এ পরিস্থিতিতেও কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল আর্থিক ও খাদ্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। আর্থিক খাতের লেনদেন হওয়া ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে এবং কমেছে ৩টির দাম। আর খাদ্য খাতের লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ৫টির দাম।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম কমার কারণে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। টানা দাম বাড়ার কারণে মূলত এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম কিছুটা সংশোধন হয়েছে। তবে এই বাজারে বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই সতর্কভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। গুজবে বা হুজগে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, টানা দাম বাড়ার পর কিছুটা কমবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। শেয়ারবাজারের ধর্মই হলো কখনো দাম বাড়বে আবার কখনো দাম কমবে। তবে বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই সব সময় সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার সূচকের উত্থানে ডিএসইতে লেনদেন শরু হয়। যা লেদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে শেষ আধা ঘণ্টায় লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ার কারণে মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়নি।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে অপর দুটি মূল্য সূচক। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ১১৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম। লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৬১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৫৬ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- এক্সিম ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, আমরা নেটওয়ার্ক, ইউসিবি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স এবং ইফাদ অটোস।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮৯টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।

এমএএস/এমআরএম/জেআইএম

আরও পড়ুন