ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সুদহার কমাচ্ছে বিএইচবিএফসি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সুদহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সিঙ্গেল ডিজিট করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা শিগগির অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাবে প্রতিষ্ঠানটি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই এটি কার্যকর হবে।

ফ্ল্যাট ক্রয়ে ব্র্যাক, ইস্টার্ন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, সিটি এবং আইএফআইসি ব্যাংকসহ অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৯ শতাংশ বা এর কমে ঋণ দিচ্ছে। সার্বিকভাবে ঋণের সুদহার কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিএইচবিএফসিও ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট করার উদ্যোগ নিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএইচবিএফসির পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান শেখ আমিনউদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ঋণের সার্বিক সুদহার হ্রাসের পেরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরে গৃহনির্মাণ ও ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সুদহার হ্রাস করেছি। গৃহঋণ ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। আর ফ্ল্যাট ক্রয়ের সুদহার ১০ শতাংশ করা হয়। এখন এটা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পরিচালনা পর্যদের পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলেই এটি কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ১০ শতাংশ সুদহারে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া টঙ্গী ও সাভার পৌর এলাকাসহ বিভাগীয় জেলা সদরে ১০ শতাংশ হারে ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং ৬০ লাখ।

বিএইচবিএফসি সূত্র জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সিলিং ৪০ লাখ থেকে বৃদ্ধি করে ৮০ লাখ এবং সুদহার ১২ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এছাড়া টঙ্গী ও সাভার পৌর এলাকা এবং দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদরে ঋণের সিলিং ৪০ লাখ থেকে বৃদ্ধি করে ৬০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয় এবং সুদহার ১২ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

পাশাপাশি গৃহনির্মাণে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ এবং ঋণের পরিমাণ ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করা হয়।

আবাসন খাতে ঋণ প্রদানকারী সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিএইচবিএফসি এখন স্বল্প সুদে পল্লী অঞ্চলেও গৃহনির্মাণ এবং ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণ দিচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ১৬৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছে।

এমইউএইচ/এএইচ/জেআইএম