‘উৎপাদন কম হলে খাদ্য আমদানি করা হবে’
বন্যার কারণে খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হলে আমদানির মাধ্যমে তা পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা সম্মেলন-২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ : সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব’। সম্মেলনে খাদ্য শিল্প উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ছিলাম। তখন খাদ্যের অভাব ছিল। আজকে ১৬ কোটি মানুষ। তবে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ বছর খাদ্য উৎপাদন কম হলে আমদানির মাধ্যমে তা পূরণ করব।
তোফায়েল বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রয়েছে। তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে চলেছে, ভোক্তাদের সচেতন করার জন্য অনেকগুলো কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি হয়েছে, আইন হয়েছে। তার সুফল মানুষ পেতে শুরু করেছে। এ সংস্থার সঙ্গে ভোক্তা অধিকার দফতর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ১৮টি মন্ত্রণালয় এবং ৪৮০টি সংস্থার সমন্বয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য আদালত স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্মেলনে বিভিন্ন আলোচনার সার সংক্ষেপ এবং পরবর্তী করণীয় উপস্থাপন করেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ন্যাশনাল টিম লিডার একেএম নূরুল আফসার।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফআইসিসিআই) রূপালী চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসআই/এএইচ/জেআইএম