জাপানি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে
জাপানি উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ে তুলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। একই সঙ্গে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশের শিল্পখাতে জাপানি বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও কারখানা স্থানান্তরসহ অন্যান্য বিষয় স্থান পায়।
শিল্পমন্ত্রী জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে অুনরোধ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে জাপান আরও বেশি পরিমাণে মানসম্মত পণ্য আমদানি করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অর্থবহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের সূচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাপান বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতুর প্রাক-সমীক্ষা, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে।
তিনি বাংলাদেশে মোটরগাড়ি উৎপাদন শিল্পে জাপনি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মালয়েশিয়ায় জাপানি বিনিয়োগে স্থাপিত ও বর্তমানে বন্ধ সনি কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত কারিগরি জনবল দক্ষতার সঙ্গে এ কারখানা পরিচালনায় সক্ষম।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দায়িত্ব পালনকালে সহায়তার জন্য শিল্পমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের কর্মতৎপরতা, সৃজনশীলতা ও বন্ধুবৎসল গুণের প্রশংসা করেন।
ওয়াতানাবে বলেন, বর্তমান সরকার সূচিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণে পণ্য আমদানি এবং এদেশে মোটর যান উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে জাপানি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবেন বলেও শিল্পমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দেন।
শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ ও দাবিরুল ইসলাম, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. আমিনুল হক, বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান এ.কে.এম দেলোয়ার হোসেনসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এমএমজেড/আরআইপি