দুই হাজার কোটি ডলার বাণিজ্যে একমত বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড
২০২১ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দুই হাজার কোটি ডলারে (দুই বিলিয়ন) উন্নীত করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড। এছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে থাইল্যান্ডে ৩৬ ধরনের পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। থাইল্যান্ডের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উভয় দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সঙ্গে থাইল্যান্ডের বছরে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়। এর মধ্যে ৯০ কোটি ডলারের বেশি আমদানি করা হয়। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের বাণিজ্য দুই হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে একমত হয়েছি।
‘এজন্য থাইল্যান্ড সরকার মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করাতে আগ্রহ। তার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। তবে এ চুক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে রফতানি বাড়াতে তৈরি পোশাক, বাইসাইকেল, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ ৩৬টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছি। তারা এ বিষয়টি আলোচনা করে আমাদের জানাবেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) স্বীকৃতি চেয়েছি। তারা বলেছেন থাইল্যান্ডের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি দেখবে এবং শিগগিরই তাদের সঙ্গে আমাদের বিএসটিআইয়ের একটি সমঝোতা হবে।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছে। থাইল্যান্ডকে এ সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি খাতে থাইল্যান্ডকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আগামীতে জয়েন্ট ট্রেড কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম সভা ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার মাধ্যমে এ সভার সময় নির্ধারিত হবে। তবে ২০১৩ সালের তৃতীয় সভার পর চতুর্থ সভা হলো চার বছর পর। পঞ্চম সভা এত দেরি হবে না বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে থাইল্যান্ড পাশে থাকবে। একই সঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করবে আমাদের সরকার।
এসআই/এমইউএইচ/ওআর/জেডএ/আরআইপি/জেআইএম