উদীয়মান ৩ খাতে কমেছে রফতানি আয়
দেশের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি থাকলেও উদীয়মান তিন খাতের অবস্থা নাজুক। উদীয়মান খাতগুলোর মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও চামড়া পণ্যের রফতানি আয় কমেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জুলাইয়ে একক মাস হিসাবে প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে। জুলাই মাসে প্লাস্টিক পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার। সেখানে রফতানি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম।
একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের জন্য প্লাস্টিক পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৮ মিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছর (২০১৬-১৭) প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হয়েছে ১১৬ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন ডলার।
প্লাস্টিক পণ্যের মধ্যে পিভিসি ব্যাগ রফতানি হয়েছে ২ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার, যেখানে জুলাই মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার।
প্লাস্টিক ওয়েস্ট রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার, যেখানে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার। প্লাস্টিক খাতের অন্যান্য পণ্যের রফতানি হয়েছে ৩ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, যেখানে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার।
একই সঙ্গে আরেক উদীয়মান খাত চামড়াজাত পণ্যের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় কমেছে। বছরের শুধু জুলাই মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৯ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার। রফতানি হয়েছে ১১৬ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ দশমিক ০৭ শতাংশ কম।
চলতি অর্থবছরের জন্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮০ মিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছে ১ হাজার ২৩৪ মিলিয়ন ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের মধ্যে শুধু চামড়া রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার, তবে রফতানি হয়েছে ১৩ দশমিক ৫৮ মিলয়ন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম।
চলতি অর্থবছরে চামড়া রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪০ মিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরে চামড়া রফতানি হয়েছে ২৩২ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলার। জুলাই মাসে চামড়াজাত পণ্যের রফতানি হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার। রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার।
জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি কমেছে পাট ও পাটজাত পণ্যের। এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯১ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার। রফতানি হয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৯ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার।
এমএ/আরএস/আইআই