ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

৪০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বিমান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫৯ এএম, ০৯ আগস্ট ২০১৭

মাত্রাতিরিক্ত মুনাফালোভী এজেন্সি মালিকদের কারসাজির কারণে এ বছর হজ ফ্লাইট চরম বিপর্যয়ে পড়েছে। হজ ব্যবস্থাপনাকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়ায় বিমানকে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর আটকা পড়া ৯ হাজার হজযাত্রী পাঠাতে জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়া গেছে ১৪টি স্লট। তার মধ্যে ৭টি স্লটই ব্যবহার করা যাবে না।

বুধবার দুপুরে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা'য় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এখন পর্যন্ত ১৯টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে বুধবারও দুটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তবে পরিস্থিতি কঠিন হলেও তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয় বলে মন্তব্য করেছেন এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ।

তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে হজ ফ্লাইট চালু রাখাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। পরিস্থিতি বেশ কঠিন, তবে এখনও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে প্রায় ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ হারিয়েছে বিমান। আর বাতিল হওয়া ১৯টি ফ্লাইটে ৯ হাজার ৮৮৭ হজযাত্রী সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল।

অন্য দেশেও হজ ফ্লাইট নিয়ে এমন পরিস্থিতি হয় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য দেশে এমন হয় না। কারণ অন্যান্য দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বেশির ভাগ মানুষ হজে যান। আর আমাদের দেশে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বেশি মানুষ যান।

হজ ফ্লাইটে আর্থিক ক্ষতি প্রসঙ্গে মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, হজ ফ্লাইটের শুরুতেই আমরা লাভ লোকসানের হিসাব করি না। হজ অপারেশনের শেষে করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত যেসব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তাতে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ ছিল। আমরা সাধারণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নই, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান। আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সমস্যা উত্তরণে সব কিছু করবো।

হজ এজন্সিগুলোর টিকিট বরাদ্দে অনিয়ম হয়েছে- এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাস দুয়েক আগে আমরা হজ পলিসি ঠিক করেছি। সেগুলো সব এজন্সিকে জানানো হয়েছে। আমাদের কাছে ১১৫টি এজেন্সি টিকিটের জন্য আবেদন করেছে। এছাড়া, এখনও আমরা প্রতিদিন ফ্লাইটের তথ্য এজন্সিগুলোকে জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিমান বাংলাদেশ এযারলাইন্সের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আলী আহসান বাবু, জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আহসান কাজী ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ প্রমুখ।

আরএম/এএস/এআরএস/আরআইপি

আরও পড়ুন