মালিন্দো এয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
শিডিউল বিপর্যয়, ব্যাগেজ লাপাত্তা, গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে না নেয়া এবং চড়া দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মালিন্দো এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে। এয়ারলাইন্সটির কর্মীদের আচরণ ও যাত্রীদের দুর্ভোগের অধিকাংশ চিত্র আঁতকে ওঠার মতো। তবে বাংলাদেশ মালিন্দোর জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) টিউন অ্যাভিয়েশন কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছে অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই, তারা নিরুপায়।
সম্প্রতি মালিন্দোর অমানবিক আচরণের শিকার হন সিরাজগঞ্জের মনসুর শেখ। তিনি জানান, ২০১১ সাল থেকে কলিং ভিসায় কুয়ালামপুরে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে চাকরি করেন তিনি। তিন মাস আগে ১০৫০ রিঙ্গিতে মালিকের কেনা রিটার্ন টিকিটে দেশে ফেরেন তিনি। গত ৩ জুলাই ঢাকা থেকে ডিপার্সারের তারিখ ছিল।
ফ্লাইট ছাড়ার ১ ঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টের বোর্ডিং কাউন্টারে গেলেও তাকে বোর্ডিং কার্ড দেয়া হয়নি। বলা হয়, টিকিট রি-ইস্যু করতে হবে। পরদিন মালিন্দোর বনানীস্থ (১১ নং সড়কের ১১ নম্বর বাড়ি) অফিসে গেলে কাউন্টারে এক নারী বিক্রয়কর্মী জানান, মালিন্দো এয়ারলাইন্সের টিকিট রি-ইস্যু হয় না। অর্থাৎ টিকিটের ওয়ানওয়ে মূল্য ফেরত দেয়া হয় না। নতুন টিকিট কাটতে চাইলে তিনি আরও জানান, ওয়ানওয়ে টিকিট কিনতে হলে ট্রাভেল এজেন্সিতে যেতে হবে। এখানে কেবল রিটার্ন টিকিট বিক্রি হয়।
পরে রিটার্ন টিকিটের মূল্য দিয়ে ওয়ানওয়ে টিকিট ক্রয় করে গত ৪ জুলাই রাত ১১টায় ওডি-১৬৫ ফ্লাইটে মালয়শিয়া যান মনসুর শেখ। কুয়ালালামপুর থেকে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, তিনি এই এয়ারলাইন্সে ২টি ব্যাগ হারিয়েছেন। একটি ১৫ দিন পরে ফেরত পেলেও অন্যটির কোন হদিস দিতে পারেনি মালিন্দো এয়ার।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক টিকিট ইস্যু করার সময় তারিখ পরিবর্তনে ৫০ ডলার চার্জ রাখার বিধান রয়েছে খোদ মালিন্দোর। তবে বাস্তবে এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করে জিএসএ টিউন এভিয়েশন। এ ঘটনায় প্রায়ই ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটররা যাত্রীদের কাছে বিব্রত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ট্যুর অপারেটরের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ জাগো নিউজকে বলেন, ‘তারিখ পরিবর্তনের ফি নির্ধারিত থাকলেও মালিন্দো প্রতিবার ইচ্ছে মতো ফি আদায় করে। কোনো তথ্য জানতে চাইলে গায়ে লাগায় না।’
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্তব্যরত মালিন্দোর সিএসএ মো. আসিফ বলেন, আমরা কোম্পানির নির্দেশনা মতো চলি। নিয়মের বাইরে কিছু করি না।
টিউন অ্যাভিয়েশনের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, এখানে আমরা চাইলেও যাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে পারি না। আমাদের হাত পা বাঁধা।
আরএম/আরএস/এআরএস/পিআর