ডিএসইতে সূচক-লেনদেন অাজও কমেছে
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচক ও লেনদেন উভয় কমেছে। এ নিয়ে বাজারটিতে টানা দুই কার্যদিবস সূচক ও লেনদেন কমল। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমলেও কিছুটা বেড়েছে মূল্যসূচক।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় কমেছে ৫ পয়েন্ট। আর সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। অপরদিকে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৮৫ কোটি টাকার ওপরে। আর সিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দুপুর ১১টা ৫০ মিনিটে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ঋণাত্মক হতে থাকে মূল্যসূচক। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার কারণে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও শেষ সময়ের লেনদেনে আবারও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক।
লেনদেনের শেষ আধাঘণ্টা সূচকের টানা পতন অব্যাহত থাকায় দরপতনের মধ্য দিয়েই লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের দিন এ সূচকটি কমেছিল ২০ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে অপর ডিএসই শরিয়াহ সূচক। এ সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে কিছুটা বেড়ছে ডিএসই-৩০ সূচক। এই সূচকটি ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৬২ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৮৫ কোটি ৩৮ লাখ টাক। আগের দিন লেনদেন কমেছিল ১১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ১১০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোস’র শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসপিসিএল’র ৪৪ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ডরিন পাওয়ার, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এমজেএল বিডি, ইউনিক হোটেল, কেয়া কসমেটিক, জেনারেশন নেক্সট এবং আফতাব অটো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮৯টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দাম।
এমএএস/জেডএ/এমএস