পুনরায় চালু হলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ‘অর্জন’
স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ঋণপত্র (এলসি) চালু করা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক তার ১১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আবারো চালু করেছে ‘অর্জন’ স্কিম। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে ১১০ বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এ সময় ‘অর্জন’ পুনরায় চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
“অর্জন” সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে নারী উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন পূরণের সাহায়তা করে থাকে। এ স্কিমের আওতায় জমি ও সম্পত্তি বন্ধক ছাড়াই নারীদের অর্থায়নের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসন, স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংকের বাংলাদেশের সিইও আবরার এ আনোয়ারসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ব্যাংকটি দেশে ২৬ টি ব্র্যাঞ্চ ও বুথ, ৮৩টি এটিএম স্থাপন করেছে। এতে কর্মরত রয়েছে দেশের এক হাজার ৯০০ বেশি কর্মী। দেশে এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা, ক্রেডিট কার্ড, প্রোজেক্ট ফাইন্যান্স, ডেরাইভেটিভসের মত বেশকিছু সেবা প্রথম চালু করে বিদেশি এই ব্যাংকটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘অর্জন’ এর আওতায় দুই নারী উদ্যোক্তাকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়। গভর্নর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগের সুযোগ কাজ করতে বলেন। একই সঙ্গে দেশের কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অনলাইলের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের বন্ড ও ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগে সুযোগ করে দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির বাংলাদেশের সিইও আবরার এ আনোয়ার বলেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের উন্নতি ও উন্নয়নের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। বাংলাদেশে প্রথম ব্যাংক যারা ১১০ বছর পূর্বে যাত্রা শুরু করেছে এবং কঠিন সময়ের মধ্য দিয়েও অব্যাহতভাবে ব্যাংকিং সেবা প্রাদান করে আসছে।
এসআই/এএইচ/আরআই
সর্বশেষ - অর্থনীতি
- ১ সরকারের ১০০ দিনের অর্জন প্রত্যাশা মাফিক হয়েছে
- ২ এফডিআই হিটম্যাপ তৈরি করছে বিডা, নেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা
- ৩ এস আলম-বেক্সিমকো যেই হোক, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে দেবো না
- ৪ আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১০ জেলায় স্মারকলিপি ও মানববন্ধন সিসিএসের
- ৫ ধীরগতির প্রকল্পে বরাদ্দ কমবে, গুরুত্বপূর্ণগুলোতে অগ্রাধিকার