ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

আজও বিক্রেতা নেই রূপালী ব্যাংকের শেয়ারের

প্রকাশিত: ০৮:৪১ এএম, ০৩ জুলাই ২০১৭

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান রূপালী ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না কোনো বিনিয়োগকারী। ফলে ক্রেতা থাকলেও রূপালী ব্যাংকের শেয়ার পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে টানা দুই কার্যদিবস রূপালী ব্যাংকের শেয়ার কিনতে ব্যর্থ হলেন বিনিয়োগকারীরা।

চলতি বছরের প্রথম অর্ধে (জানুয়ারি-জুন) রূপালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় বড় ধরণের উল্লম্ফন ঘটেছে বিভিন্ন মাধ্যমে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পাড়ার প্রভাবে ব্যাংকটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।

চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২৬০ কোটি টাকা। যা ২০১৬ সালের একই সময়ে ছিল মাত্র ৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে রূপালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৭ গুণ।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ব্যাংকটির মোট শেয়ারের ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশই রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী রূপালী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ৩০ টাকা ৫০ পয়সা দরে। এই দামে ১ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। তবে কেউই এই দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি।

এরপর ৩০ টাকা ৬০ পয়সা দামে ২ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন আসে। এ দামেও কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে দুপুর দেড়টার দিকে ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা দামে ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৩৭টি শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। এই দামেও কোনো বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে রূপালী ব্যাংকের শেয়ারের বিক্রেতা শূন্যই থেকে গেছে।

আগের কার্যদিবস রোববার রূপালী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ২৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে। এই দামে ৩ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। তবে ওই দিনও কেউ এই দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি।

এরপর ২৮ টাকা ৬০ পয়সা দামে ৩ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন আসে। এ দামেও কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে দুপুর ১টার দিকে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা দামে ৬০ হাজার ৫৭৪টি শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। এই দামেও কোন বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে রূপালী ব্যাংকের শেয়ারের বিক্রেতা শূন্যই থেকে যায়।

এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন