ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

চীন-রাশিয়া-জার্মানিতে রফতানি আয় বেড়েছে

প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ১৫ জুন ২০১৭

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও চীন, রাশিয়া ও জার্মানিতে গত বছরের তুলনায় রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে (প্রথম ১১ মাসে) জার্মানিতে ৫০৪ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪০ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকার পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে জার্মানিতে মোট ৪৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ওই বছরের জুলাই-মে মেয়াদে জার্মানিতে পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশের আয় হয়েছিল ৪৪৪ কোটি মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে চীনে ৮৮ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৭ হাজার ১১১ কোটি ৫১ লাখ টাকার পণ্য রফতানি করা হয়েছে। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৫ হাজার ১৩৪ কোটি টাকার পণ্য রফতানি করা হয়েছে। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে রাশিয়ায় ২৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি।

এদিকে, চলতি জুন মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল মোট ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস অর্থাৎ জুলাই-মে মেয়াদে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৩৩৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩ হাজার ১৭৯ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের মে মাসে পণ্য রফতানিতে মোট আয় হয়েছে ৩০৬ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২৪ হাজার ৭৫০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যা এই মাসের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। তবে ওই মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

এমএ/এসআর/জেআইএম

আরও পড়ুন