ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

মন্দার বাজারেও বেড়েছে বিনিয়োগকারী

প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ১৬ মে ২০১৫

চলতি বছরের শুরুতেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতির মুখে পড়ে দেশের অর্থনীতি। ফলে অন্যান্য খাতের মতো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের পুঁজিবাজারেও। এ সময় কমে যায় সব ধরনের সূচক ও বাজার মূলধন। কিন্তু এতো সব মন্দার মধ্যেও বেড়েছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা। গত চার মাসে ৪৪ হাজার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা (বিও) অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
 
বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে প্রতিমাসেই নতুন আইপিও আসছে। তাই আইপিওকে কেন্দ্র করে বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী বাড়ছে। বিনিয়োগকারী আসলে বাজারের গভীরতা বাড়ে। তবে বিনিয়োগকারীরা অনভিজ্ঞ হলে বাজারে ঝুঁকিও বাড়ে।
 
ডিএসইর তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৭৯ হাজার। এপ্রিল শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ২৩ হাজারে। অর্থাৎ চার মাসে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছে ৪৪ হাজার। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছে ১৯ হাজার, মার্চে ১৮ হাজার এবং এপ্রিলে ৭ হাজার।

সিডিবিএল সূত্রে জানা গেছে, ৩২ লাখ ২৩ হাজার বিও অ্যাকাউন্টের মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারী ২৩ লাখ ৪৯ হাজার এবং নারী বিনিয়োগকারী রয়েছে ৮ লাখ ৬৩ হাজার। আর বাকি সাড়ে ১০ হাজার বিভিন্ন কোম্পানি হিসাব রয়েছে। এপ্রিল শেষে স্থানীয় বিও হিসাব ৩০ লাখ ৫৯ হাজার। আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বর্তমানে এক লাখ ৫৪ হাজার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিনিয়োগকারী আসলে বাজারের গভীরতা বাড়ে। তবে এখন বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী বিও হিসাব খোলেন প্রাথমিক গণপ্রস্তাব প্রক্রিয়া (আইপিও) অংশগ্রহণ বাড়ানো জন্য।

তিনি বলেন, যেসব নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসছেন তা বাজারের জন্য ইতিবাচক। তবে তারা অনভিজ্ঞ হলে ঝুঁকিও রয়েছে। তাই নতুন বিনিয়োগকারীদের সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানির মৌলভিত্তি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোনোভাবেই হুজুগে বিনিয়োগ করা যাবে না। একই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগকারীদের ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দেন তিনি।

সূত্র জানায়, বর্তমানে বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন করতে ৫০০ টাকা লাগে। এর মধ্যে সিডিবিএল ১৫০, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) ৫০ এবং বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়। প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে এই টাকা সিডিবিএলে জমা দিতে হয়। নির্ধারিত সময়ে নবায়ন ফি না দিলে বিও অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয়।

এসআই/আরএস/বিএ/আরআইপি