আবগারি শুল্ক নিয়ে সরকারের উচ্চমহলে চিন্তাভাবনা চলছে
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আবগারি শুল্ক নিয়ে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই। জনগণের মতামতের গুরুত্ব আমাদের কাছে আছে। এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চমহলে চিন্তাভাবনা চলছে। এ বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান আসবে।
বুধবার রাজধানীর কলাবাগানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেভাবে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তাতে ভালো লাগছে। বাজেট নিয়ে সবার আলোচনা সরকারের জন্য ক্রেডিট। কারণ অতীতে বাজেট ছিল একটা লুকানো, ভীতি ও সংশয়ের বিষয়।
তিনি বলেন, এখনকার বাজেট পথঘাটের বাজেট। যে বাজেট নিয়ে জনগণ রাস্তা ঘাটে আলোচনা তুলছে। উল্টে-পাল্টে দেখতে ও কথা বলতে পারছে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় অর্জন।
বাজেটের আলোচনা সমালোচনা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বোবা বা কানা নয়। সরকার সবার কথা শোনে, মূল্যায়ন করে। রাস্তার দেয়াল লিখনের কথাও সরকারের কাছে গুরুত্ব পায়।
ব্যাংক আমানতের উপর আবগারি শুল্ক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এক লাখ টাকা পর্যন্ত শুল্ক মওকুফ করেছি, যেখানে ৮৫ শতাংশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি সিরিয়াস হিসেবে দেখছি।
ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মেটাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো আমাদের বছরের পর বছর সেবা দিচ্ছে। তাদের তো মেরে ফেলতে পারি না। আপনার একটি দুধওয়ালা গাভীর অসুখ হলে তাকে তো আপনি মেরে না ফেলে তার চিকিৎসা করাবেন। তবে আমরা ব্যাংকে দুর্নীতি যেন না হয় সেদিকে নজর রাখছি।
নতুন ভ্যাট আইন বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইন ২০১২ সালে প্রণীত হলেও এবার আমরা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। ২০১২ সালে শুরু করার কথা ছিল। আর দেরি করব না। হোঁচট খাব, ধাক্কা লাগবে, কষ্ট হবে, তারপরও এ আইন বাস্তবায়ন করতেই হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল জাতীয় বাজেট বিষয়ে প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন। বক্তব্য রাখেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টির প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামিম।
এমএ/জেএইচ/ওআর/জেআইএম