এবার ঈদ পোশাকের নাম ‘হুররাম-বাহুবলী ২’
প্রতি ঈদে মেয়েদের পোশাকের বিশেষ নাম থাকাটা যেনো গত কয়েক বছর ধরে দেশে এক কৃত্রিম ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সাধারণত বিদেশি মেগা সিরিয়াল, সিনেমা কিংবা অভিনেতা, অভিনেত্রীর বিভিন্ন চরিত্রের নামেই মেয়েদের পোশাকগুলোর নামকরণ করা হয়।
`পাখি, কিরণমালা, বাজিরাও মাস্তানি`র পর সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাজার মাতাচ্ছে `হুররাম ও বাহুবলী ২`।
অটোমান সম্রাজ্যের শাসকদের নিয়ে নির্মিত জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল `সুলতান সুলেমান` এবং `বাহুবলী ২` বলিউডি সিনেমা অনুসারেই এসব নামকরণ করা হয়েছে।
তবে ক্রেতাররা বলছেন, এসব নাম কেবলই ক্রেতা অাকৃষ্ট করার জন্য। বিশেষ কোনো ডিজাইন অনুসারে এই নামকরণ করা হয়নি। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এদিকে অাসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এমন বাহারি পোশাকে দোকান ভর্তি করা হলেও এখনও ঈদের বাজার জমে ওঠেনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা অাশা করছেন, চলতি মাসের ৮-১০ তারিখ থেকেই মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়বে।
পোশাকের নামকরণ সম্পর্কে রাজধানীর উত্তরার কুশল সেন্টারের ফ্যাশন হ্যাভেন নামক দোকানের কর্ণধার অাবদুস ছাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, এবার ঈদ ফ্যাশন হিসেবে গাউন ধরনের পোশাক মেয়েরা বেশি পছন্দ করছে। বাজারে এ ধরনের পোশাক হুররাম, বাহুবলী ২ নামেও পরিচিত পাচ্ছে।
নবছোঁয়া নামে অারেকটি দোকানের বিক্রেতা মো. রুবেলও বলেন, গাউনের চাহিদা বেশি। তবে লাছা নামের অারেক ধরনের পোশাকও বেশ বিক্রি হচ্ছে।
বাচ্চাদের পোশাকের ক্ষেত্রে এই নামগুলো বেশি ব্যবহার হচ্ছে বলে জানান নাহারস ফ্যাশনের পরিচালক মো. সোলায়মান কবির।
অাল্পনা নামক এক দোকানের বিক্রেতারা জানান, গাউনের পাশপাশি লেহেঙ্গা ধরনের পোশাকেও নজর দিচ্ছে মেয়েরা। এগুলোকে সারারাও বলা হচ্ছে।
বিভিন্ন দোকান ঘুরে বিক্রেতাদের কথার সত্যতাও পাওয়া যায়। অাল্পনার সামনের ডিসপ্লে করা পোশাক দেখছিলেন সুমি। জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, লেহেঙ্গা ধরনের পোশাকগুলোই এবার কিনব ভাবছি। তবে এগুলোর নাম একেক দোকানদার একেক রকম বলে। নামের কোনো ঠিক নাই।
এদিকে গত মাসের শেষদিকে রোজা শুরু হওয়ায় এখনও বিকি্র জমে উঠেনি বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
ফ্যাশন হ্যাভেনের মালিক অাবদুস ছাত্তার বলেন, ভাঙা মাসে রোজা শুরু হয়েছে। মাসের শেষদিকে তখন বেশির ভাগ মানুষের হাতে টাকা থাকে না। এখন নতুন মাস শুরু হয়েছে। ৫-১০ তারিখের মধে্য বেশিরভাগ অফিস অাদালতে বেতন হবে। অাশা করছি এরপর থেকেই ক্রেতারা মার্কেটমুখী হবেন।
ঈদে পোশাকের পাশপাশি কসমেটিকস, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দোকানেও ভিড় থাকে নিয়মিত। তবে সেসব বাজারেও এখনো বিশেষ ক্রেতা সমাগম দেখা যায়নি।
জেপি/এমএমএ/এমএস