পুঁজিবাজার নিয়ে বাজেট বক্তব্যে যা বললেন অর্থমন্ত্রী
‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ নাম দিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর আগে তিনি আরও ১০টি বাজেট দিয়েছিলেন। মুহিতের ভাষায় এবারেরটা তার সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট।
অর্থমন্ত্রী তার এই সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য নতুন কিছুই রাখেননি। তবে শেয়ারবাজারের ওপর বাজেট উপস্থাপনে সংক্ষিত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। সেখানে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
মুহিত বলেন, পুঁজিবাজারে স্টার্ট-আপ ও নতুন কোম্পানির মূলধনের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট) রুল ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের লেনদেনের স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে আধুনিক সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমও ইতোমধ্যে স্থাপিত হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পুঁজি গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে একটি স্লম ক্যাপ (স্বল্প মূলধনী) প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন রুল ২০১৬ প্রণয় করা হয়েছে।
‘পাশাপাশি নতুন প্রোডাক্ট ‘এক্সচেঞ্জ ট্রেড ফান্ড (ইটিএফ)’ চালুর লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ইটিএফ) রুল ২০১৬’-বলেন মুহিত।
মন্ত্রী জানান, পুঁজিবাজার উন্নয়নে গৃহীত দীর্ঘমেয়াদি কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য আলাদা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের কারিগরি ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় কৌশলগত বিনিয়োগকারী সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।
নতুন অর্থবছরের জন্য মুহিত যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।
এ বাজেটে ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোট টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের কর ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, এনবিআরবহির্ভূত কর (রাজস্ব) ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা, কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। ফলে বাজেট ঘাটতি থাকবে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
এ ঘাটতির অর্থায়ন আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে ৫১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা, তন্মধ্যে, ব্যাংক উৎস ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা।
মুহিত তার বাজেট বক্তব্যে উল্লেখ করেন, নতুন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
এমএএস/জেডএ/পিআর