যেভাবে ব্যয় হবে বাজেটের অর্থ
‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ নাম দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি মুহিতের একাদশ বাজেট। আর বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে টানা নবম বাজেট। এর আগে মুহিত ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দু’বার বাজেট পেশ করেছিলেন।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।
নতুন অর্থবছরের বাজেটের অর্থ সব থেকে বেশি ব্যয় হবে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে। বাজেটের মোট অর্থের ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ৬৫ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে।
এর পরেই রয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এ খাতে ব্যয় হবে ১২ দশমিক ২০ শতাংশ বা ৪৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। সুদ পরিশোধে ব্যয় করা হবে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ বা ৪১ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ব্যয় হবে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ২৭ কোটি ৬১৮ কোটি টাকা। ২১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় হবে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতে।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হবে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ বা ২০ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। কৃষি খাতে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৬১০ কোটি বা ৩ দশমকি ৯০ শতাংশ।
প্রতিরক্ষায় ব্যয় করা হবে ২২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। জনপ্রশাসনে ব্যয় হবে ১৯ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে ব্যয় হবে ২০ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।
জনশৃংখলা ও নিরাপত্তায় ব্যয় করা হবে ২২ হাজার ১৫ কোটি বা ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। গৃহায়নে ৩ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বা দশমিক ৯০ শতাংশ। শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাতে ৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বা ১ দশমকি ১০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হবে।
এ ছাড়া পেনশনে ব্যয় করা হবে ২২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিতে যাবে ১৯ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা বা ৪ দশমকি ৯০ শতাংশ।
বিবিধ ব্যয় হবে ২০ হাজার ১৩ কোটি টাকা ৫ শতাংশ এবং বিনোদনে সংস্কৃতি ও ধর্মের পেছনে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বা দশমিক ৯০ শতাংশ।
এমএএস/এনএফ/জেআইএম