প্রস্তাবিত বাজেট ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা
স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৬তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭তম বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ নামে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে যা প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা বাজেটের আকার বেশি।
বাজেটে ব্যয় মেটাতে সরকারি অনুদানসহ আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাথ ৯৩ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। মোট ঘাটতি ১ লাখ ৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে (এডিপি) ১ লাখ ৫৩ হাজার৩৩১ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ধরা হয় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের অর্থায়নে অভ্যন্তরীন ব্যবস্থা থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা।
উন্নয়ন বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ পেয়েছে বেশি শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রস্তাবিত অনুন্নয়ন বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সরকারের সুদ পরিশোধে, ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ পেয়েছে বেশি শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং পেনশন অবসর ভাতায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।
আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে ৮৫ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
এছাড়া নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৩০ হাজার ২৩ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৩৮ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, রফতানি শুল্ক থেকে ৪৪ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ১ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। সংশোধন করে তা ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকায় নামানো হয়।
আরএস/আরআইপি