ইফতার পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়ল
রোজার প্রথম দিনেই রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে ইফতার তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের দাম। রোজা শুরুর দু’দিন আগেও যেগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছিল।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, দাম যা বাড়ার দু’দিন আগেই বেড়েছে। রোববার দু-একটি ছাড়া সব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শুক্র ও শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। সেই সঙ্গে রোজার আগে হওয়ায় বাজারে ক্রেতার উপস্থিতিও ছিল বেশি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রেতারা হঠাৎ করেই দাম বাড়িয়ে দেন। অথচ বাজারে কোনো সংকট তৈরি হয়নি এবং সরবরাহেও কোনো ঘাটতি ছিল না।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে যে বেগুন বিক্রি হয় কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, রোববার তা বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, রোজায় বেগুনসহ নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ইফতারিতে বেশি ব্যবহৃত হয় পণ্যগুলোর দাম আরও বাড়বে। আজ (রোববার) যে বেগুন ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে আগামীকাল বা পরশু তা ৮০ টাকা ছাড়িয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
রোববার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৫০ টাকা; শসা ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকায়, ধনেপাতা ১০০ থেকে বেড়ে ১৪০ টাকায়, পুদিনা পাতা ২০০ থেকে বেড়ে ২২০ টাকায়, লেবুর হালি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মিরপুরের দোকানদার ফারুক হোসেন বলেন, বাজারে সরবরাহ চাহিদার চেয়ে কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। রমজানের কারণে এ চাহিদা বেড়েছে, ফলে দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
তিনি জানান, রোজা উপলক্ষে পাইকারি বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
বাজার করতে আসা মোক্তার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে কখন কী হয়, কিছুই বুঝি না। রোজার প্রথম দিনই ইফতারির পণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, না জানি শেষ পর্যন্ত দাম কোথায় গিয়ে ঠেকে?
এমএ/জেডএ/এমএআর/পিআর