ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রোজার আবহে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম

প্রকাশিত: ০৫:২৬ এএম, ২৬ মে ২০১৭

রমজানকে সামনে রেখে রাজধানীর বাজারগুলোতে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে গেছে। বাজার ভেদে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

মুরগি ও গরুর মাংসের দাম বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। তবে গত কয়েক মাসের মতো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরের নিচে মিলছে না কোনো সবজি।

শুক্রবার যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুই মাসের বেশি সময় ধরে বেগুন, পটল, ঝিঙা, ধুনদল, করলা, বরবটি, ঢেড়স, টমেটোসহ প্রায় সব সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকার ওপরে রয়েছে।

তবে গত সপ্তাহের তুলনায় পটল ও ঢেড়সের দাম কিছুটা কমেছে।

মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায়। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৫২০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন। এ ব্যবসায়ীরাই গত সপ্তাহে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করেছেন ৪৮০ টাকায়।

সাদা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি দরে; গত সপ্তাহে যা ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।

যাত্রাবাড়ী বৌ-বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মো. আনোয়ার বলেন, একদিন পরেই রোজা তাই আজ মাংসের দাম একটু বেশি। দুই-একদিন ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। তারপর আবার দাম কমে যাবে। মূলত রোজার কারণে দাম একটু বেড়েছে।

ধলপুরে ৫১০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করা মো. হেলাল বলেন, আমরা যে গরু জবাই করেছি, বড় ষাড় গরু। এই গরুর মাংস অনেক ভালো তাই একটু দাম বেশ রাখছি। যারা বাচ্চা গরু জবাই করেছে তাদের কাছে ৫০০ টাকা কেজিতে মাংস পাওয়া যাবে।

এক সবজি বিক্রেতা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। শুক্রবার এই সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।

গত সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতো ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ধুনদল, ঝিঙা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটির ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঢেড়স ২০ থেকে ২৫ টাকা, ডাটা ২০ টাকা আটি।

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. জামাল হোসেন বলেন, সবজির দাম আগে যা ছিল এখনো তাই রয়েছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে সবজির দাম অনেকটা স্থিতিশীল। তবে রোজার ভেতরে হয়তো বেগুনের দাম একটু বাড়তে পারে। তাছাড়া অন্যান্য সবজির দাম সহসা বাড়া বা কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।

মীরহাজারীবাগ বাজারের বিক্রেতা আরিফা বেগম বলেন, শুক্রবার সাধারণত সবজির দাম একটু বেশি থাকে। বৃহস্পতিবার যে লাউ ৩০ টাকায় বিক্রি করেছি তা আজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে গত সপ্তাহের শুক্রবারের সঙ্গে তুলনা করলে দাম বাড়েনি।

এদিকে দাম অনেকটাই স্থিতিশীল আছে তেল, আটা, পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। ১ লিটারের বোতলজাত সয়াবিল তেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আর ৫ লিটারের বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ টাকা থেকে ৫১৫ টাকায়।

প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, আমদানি করা রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে।

এমএএস/এনএফ/এমএস

আরও পড়ুন