ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

অবকাঠামো খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ ডিসিসিআইয়ের

প্রকাশিত: ০৩:১৭ পিএম, ২১ মে ২০১৭

ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করার জন্য অবকাঠামো খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।

রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানায় ডিসিসিআই প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম খান।

এ সময় তিনি বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা কাটিয়ে উঠা ও বেসরকারি বিনিয়োগকে ২২-২৯ শতাংশে বাড়ানোর লক্ষ্যে শিল্পায়ন সহজীকরণে আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ প্রয়োজন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নে গত ৮ বছরে বিশেষত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বড় ধরনের ভূমিকা নিয়েছে। তবে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করার জন্য অবকাঠামো খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি জানান, বর্তমানে অবকাঠামোখাতে বিনিয়োগ জিডিপির ২.৮ শতাংশ, যেখানে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ ১০ শতাংশ, চীনের ৯ শতাংশ, ভারতের ৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ৫ শতাংশ ও ফিলিপাইনের ৫ শতাংশ হারে বিনিয়োগ করছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির বর্তমান করসীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো এবং সর্বাধিক কর অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর ২৫ শতাংশ কর আরোপের দাবি জানান আবুল কাশেম খান।

একই সঙ্গে তিনি কর্পোরেট আয়কর-পাবলিক ট্রেডেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ এবং নন পাবলিক ট্রেডেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি কর্পোরেট লভ্যাংশ শিল্পখাতে পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ কর আরোপ করার প্রস্তাব করেন।

তিনি বিদ্যমান ট্যাক্স গার্ডকে স্মাট কার্ডে রূপান্তর ও ভ্যাট স্মাট কার্ড প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডালিটির আওতায় উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং অ্যাডভাইজরি অথরিটি নামে একটি প্লাটফর্ম গঠন করা প্রয়োজন।

জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য দেশের সব বন্দরগুলোতে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ খালাস প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণ করা হবে। রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাকে বাড়ানোর লক্ষ্যে রেমিট্যান্স পাঠানোর সব ধরনের চার্জ উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হবে।

‘ঋণের সুদের হার কমানোর বিষয়ে সরকার সেভিং সার্টিফিকেটের সুদের হার কমানোর বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে, তবে তা বিদ্যমান বাজারদরের চেয়ে কম হবে না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, পরিচালক হুমায়ুন রশিদ, মো. আলাউদ্দিন মালিক, রিয়াদ হোসেন, সেলিম আকতার খান বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক ইমরান আহমেদ, খ আতিক-ই-রাব্বানী, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, খ রাশেদুল আহসান এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির।

এমএ/এমএমএ/জেএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন