ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বেড়েছে চাল ছোলা চিনির দাম

প্রকাশিত: ০৫:৫২ এএম, ১৯ মে ২০১৭

সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, ছোলা ও চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে কমেছে ডিম ও মুরগির দাম। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মেরাদিয়া, রামপুরা, শাহজাহানপুর, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, গত সপ্তাহে ছোলা প্রতি কেজি ৭৪-৮৪ টাকা বিক্রি হতো। এ সপ্তাহে তা ১০-২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫-১১০ টাকায়। চিনি গত সপ্তাহে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা ৬-১০ টাকা বাড়িয়ে ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও চড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হয়েছে ২০০-৩০০ টাকায়। এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা। প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০- ১২০০ টাকা।

গত সপ্তাহে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা। এ সপ্তাহে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৯০-৫১০ টাকা। খাসি প্রতি কেজি ৬৫০-৭৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে কমেছে ৫-১০ টাকা।গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম (ফার্ম) প্রতি হালি ২৬-২৮। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ টাকায়। সাধারণ মানের প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০-২৫০ টাকা।

এদিকে নাজির/মিনিকেট (সাধারণ মানের) প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা, উত্তম মানেরটা বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৬ টাকা আর মাঝারি মানের প্রতি কেজি ৪৬-৫০ টাকা। পাইজাম/লতা (সাধারণ মানের) প্রতি কেজি ৪৬-৪৮ টাকা, উত্তম মানের প্রতি কেজি ৪৮-৫০। মোটা/ স্বর্ণা/ চায়না ইরি প্রতি কেজি ৪২-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গতসপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ২৪-৩২ টাকা, সাদা খোলা আটা প্রতি কেজি ২৪-২৬ টাকা, প্যাকেট আটা ৩০-৩২ টাকা। ময়দা প্রতি কেজি ৩৪-৪২ টাকা, ময়দা (খোলা) প্রতি কেজি ৩৪-৩৬ টাকা, ময়দা (প্যাকেট) প্রতি কেজি ৪০-৪২ টাকা।গত সপ্তাহেও তা একই দামে বিক্রি হয়েছে।

সয়াবিন তেল (লুজ) প্রতি লিটার ৮২-৮৪ টাকা, সয়াবিন তেল (বোতল) ৫ লিটার ৪৯০-৫২০ টাকা, সয়াবিন তেল (বোতল) ১ লিটার ১০০-১০৬ টাকা, পাম অয়েল (লুজ) প্রতি লিটার ৭০-৭২ টাকা, পাম অয়েল (সুপার) প্রতি লিটার ৭৪-৭৫ টাকা।গত সপ্তাহেও তা একই দামে বিক্রি হয়েছে।

অপরদিকে, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৭৫-১৩৫ টাকা। ডাল (তুরস্ক/কানাডা-বড় দানা) গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে ৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা। মাঝারি ধরনের ডাল (তুরস্ক/কানাডা) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। ডাল (দেশি) প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা। ডাল (নেপালি) প্রতি কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা। মুগ ডাল (মানভেদে) প্রতি কেজি ১১০-১৩৫ বিক্রি হয়েছে গত সপ্তাহে। চলতি সপ্তাহে তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা। অ্যাংকর ডাল প্রতি কেজি ৪৫-৬০টাকা। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০-৩২, আমদানি করা পেঁয়াজ ২০-২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩২ টাকা, রসুন ১০০-২৪০, শুকনা মরিচ ১৫০-২০০, হলুদ ১৬০-২০০ টাকা, আদা (আমদানি) মানভেদে প্রতি কেজি ৭০-১১০ টাকা, জিরা প্রতি কেজি ৩৮০-৪৫০ টাকা, দারুচিনি ৩২০-৩৬০ টাকা, এলাচ প্রতি কেজি ১২০০-১৬০০ টাকা। ধনেপাতা ১২০-১৫০ ও তেজপাতা প্রতি কেজি ১৩০ টাকা।

তবে শাক-সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ঢেঁড়শ, শশা, করলা, লতি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, পটল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

মেরাদিয়া হাটের ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম প্রতি ৫ কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বেড়েছ। যে কারণে আমরা খুচরা বাজারে বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী শফিউল আলম জানান, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া চাল, ডাল, চিনি ও ছোলার দাম বেড়েছে। বাকি পণ্য স্থিতিশীল রয়েছে।

এমএসএস/এএইচ/পিআর