পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিতে দেশব্যাপী অভিযানে ১৭ মামলা
ঢাকাসহ সারাদেশে ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে শতভাগ পাটের মোড়ক বা বস্তার ব্যবহার নিশ্চিতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের বিরুদ্ধে সোমবার বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হয়। প্রথম দিনের অভিযানে ১৭টি মামলা ও ৭০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, সোমবার ঢাকার কাওরান বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান। এ সময় পাট অধিদফতরের পরিচালক লোকমান আহমদ (যুগ্ম সচিব) উপস্থিত ছিলেন।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়নে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযানের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন তিনি। এতে আরও বলা হয়, পরিদর্শনকালে ব্যবসায়ীরা এ আইনকে স্বাগত জানান। তারা ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিসহ এ ১৭টি পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহারে তাদের সম্মতির কথা পুনঃব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী ছয়টি পণ্য অর্থাৎ ধান, চাল, গম, ভূট্টা, সার ও চিনি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়াসহ মোট সতেরটি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে।
‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনঃসংগঠিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
এমইউএইচ/ওআর/আরআইপি