ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দুই বছরের মধ্যে পাট থেকে রেশম উৎপাদন

প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ১৩ মে ২০১৭

দুই বছরের মধ্যে পাট থেকে ভিসকোচ (রেশম) উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি পাল্প অ্যান্ড পেপার প্রসেসিং ফরম জুট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮০০ থেকে হাজার কোটি টাকার ভিসকোচ আমদানি করা হয়। ভিসকোচের জন্য আমরা টিপিপি করছি। চীনের কারিগরি সহায়তা নিয়ে কোথায় আমরা কারখানা করবো তার জায়গা নির্ধারণ করেছি। একনেকের অনুমোদন নিয়ে আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা উৎপাদনে যেতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে পাটের অবস্থা খারাপ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাটের খারাপ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। যারা বহুমুখী পণ্য রফতানি করেন প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য ২০ শতাংশ ইনসেনটিভ (সহায়তা) দিয়েছেন। পাটকে কৃষি পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৮৫ লক্ষ বেল পাট উৎপাদিত হচ্ছে। এটাকে ১ কোটি বেলে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, সরকার কাঁচা পাট হতে পলিমার ব্যাগ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং এটি ব্যবহারের জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত হবে যা পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, পাট দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখছে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, পাটের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি পাট হতে পাল্প (মণ্ড) ও পেপার উৎপাদনে মনোযোগী হলে আবারও পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনা যাবে। এ লক্ষ্যে পাট খাতে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন, প্রযুক্তির ব্যবহার, সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও আর্থিক সহায়তা দিতে হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলে ওয়াহিদ খন্দকার বলেন, দেশের যেসব অঞ্চলে পাটের চাষ বেশি হয়, সেখানে পাল্প ও কাগজ প্রস্তুতকারি কারখানা স্থাপন করতে হবে। যার মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পাট হতে পাল্প ও পেপার প্রস্তুতে পাট চাষী ও ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা সম্ভব হবে।

নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. মনজুরুল আলাম, ডিসিসিআই’র আহ্বায়ক রাশেদুল করীম মুন্না এবং বিজেএমসি’র সাবেক যুগ্ম সচিব ও পরিচালক বাবুল চন্দ্র রয় অংশগ্রহণ করেন।

মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই পরিচালক ইমরান আহমেদ, খান রাশেদুল আহসান, রিয়াদ হোসেন, সেলিম আকতার খান, সাবেক পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, সোনালী আঁশ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক নাজিম আহমেদ, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এনামুল হক পাটোয়ারী এবং ডিসিসিআই’র সদস্য নেয়ামত উল্ল্যাহ মজুমদার প্রমুখ অংশ নেন।

এমএএস/এমআরএম/এএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন