অনিয়মের দায়ে এবি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ
অব্যবস্থাপনা, সুশাসনের অভাব, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি ও প্রভিশন ঘাটতিসহ বিভিন্ন কারণে এবার এবি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ৩ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগ-২-এর মহাব্যবস্থাপক শেখ মোজাফফর হোসেনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি খাতের ১৪টি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শেখ মোজাফফর হোসেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সব বৈঠক ছাড়াও নির্বাহী ও অডিট কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
এসব বৈঠকে উপস্থিত থেকে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে মতামত উপস্থাপন করবেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনে এই মহাব্যবস্থাপককে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে প্রতিটি বৈঠকের অন্তত তিন কার্যদিবস আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সব এজেন্ডা তার কাছে পাঠাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক পরিচালনায় স্বচ্ছতা, সুশাসন ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়টি সামনে আসায় প্রায় এক বছর ধরে ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির আওতায় ছিল।
গত বছর ব্যাংকটির অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে চার বিদেশি কোম্পানিকে পাঁচ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের নামে এসব অর্থ পাচার হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে।
এছাড়া গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে ব্যাংকটির এক হাজার ৩৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন ঘাটতি ছিল। তবে ব্যাংকটি তা রাখতে ব্যর্থ হয়। মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকটির মুখ্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই।
এদিকে, পরিচালনা পর্ষদে সুশাসনের অভাব, ঋণ অনিয়ম, আর্থিক পরিস্থিতির অবনতিসহ বিভিন্ন কারণে এ পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি ১৪টি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- বেসরকারি খাতের এনআরবি কমার্শিয়াল, ফারমার্স, ন্যাশনাল, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং সরকারি মালিকানার সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ কৃষি, বেসিক ও বিডিবিএল ব্যাংক।
এসআই/এসআর