মুদ্রা পাচারকারীরা এনবিআরের নজরদারিতে
অর্থ পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, পাচারের অভিযোগে বেশকিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা, কিছু অপরাধীকে গ্রেফতার ও নজরদারির মধ্যে রাখা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বুধবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সততার জন্য দু’জন রাজস্ব যোদ্ধার সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) সোমবার অর্থ পাচারের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে ১০ বছরে পাচার হয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা (৪ হাজার ৪৬১ কোটি ৫৩ হাজার মার্কিন ডলার), যা দেশের বর্তমান মোট জাতীয় বাজেটের চেয়েও বেশি। প্রতি বছর গড়ে পাচার হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘মুদ্রাপাচাররোধে এনবিআর অনেক দিন ধরে কাজ করছে। বিশেষ করে মুদ্রাপাচার আইন, ২০১২ সংশোধনের সময় এনবিআর দাবি করেছে, এনবিআরকে মুদ্রাপাচাররোধে ব্যবস্থা গ্রহণে ক্ষমতায়ন করা হলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা হবে। সরকার মুদ্রাপাচাররোধে অত্যন্ত সক্রিয় ও শক্ত অবস্থানে থাকায় এ আইন প্রণীত হয়েছে। এনবিআর, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিএফআইডি এবং দুদকের হাতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মুদ্রাপাচাররোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। মুদ্রাপাচারের অনেকগুলো মামলা রুজু করা হয়েছে। বাণিজ্যিক বেশ কিছু মুদ্রাপাচারের ঘটনা তদন্ত করে রহস্য উৎঘাটন ও মামলা করেছি। আমরা বেশকিছু অপরাধীকে সনাক্ত করেছি, তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিছু অপরাধী নজরদারির মধ্যে আছে। এসব বিষয়ে আমরা খুবই সক্রিয়।’
প্রতিবেদনটির পদ্ধতিগত দিক নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে বলে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘কোন পদ্ধতিতে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সেটা সুস্পষ্টভাবে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়নি। আমরা এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এনবিআর মনে করে, এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য এলে দেশ ও দেশের জনগণ উপকৃত হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামগ্রিক মূল্যায়নে যে পরিমাণ মুদ্রাপাচারের কথা বলা হচ্ছে সে পরিমাণ হয়তো হবে না। পরিমাণ আরও অনেক কমতে পারে। তবে পরিমাণ যাই হোক না কেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও আমাদের সংস্থাগুলো মুদ্রাপাচারকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ব্যবস্থা নেবে।’
এমএ/জেএইচ/ওআর/জেআইএম