অক্টোবর থেকে ডেনমার্কে সাইকেল রফতানি
ইউরোপের বাজারে সাইকেল রফতানিতে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ। এবার সাইকেলের সে বাজার আরও বিস্তৃত হচ্ছে। স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ ডেনমার্কেও রফতানি হবে বাংলাদেশের সাইকেল। আসছে অক্টোবরেই দেশটিতে সাইকেলের প্রথম চালান যাবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।
এ বিষয়ে ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ. মুহিত বলেন, ডেনমার্ককে সাইকেলের স্বর্গ বলা হয়। প্রচুর সাইকেলের চাহিদার দেশটিতে বাইসাইকেল রফতানি করা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সুখবর।
মাত্র দেড় বছর আগে ডেনমার্কে বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপন করা হয়। যদিও বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকেই দেশটির দূতাবাস রয়েছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে ৮০০-৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের রফতানি করে বাংলাদেশ।
যদিও এসব রফতানি পণ্যের সিংহভাগই পোশাক পণ্য। এছাড়া পাট, সিরামিক, লেদারের বাজারও রয়েছে দেশটিতে। এবার নতুন করে যোগ হতে চলেছে বাই সাইকেল, যা অর্থনীতির জন্য বাড়তি পাওনা বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। শুধু তাই নয়, ডেনমার্কের ফার্মাসিটিক্যালসের বাজার ধরার চেষ্টাও করছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে একটি প্রতিনিধি দলও দেশটি সফর করেছে বলে জানা গেছে। প্রথম চালানে দুটি কন্টেইনারে করে বাংলাদেশের তৈরি বাইসাইকেল ডেনমার্কে যাবে। মাত্র ৮০০-৯০০ ডলার খরচে এসব সাইকেল কিনতে পারবেন ডেনিশরা।
তুলনামুলক কমমূল্য হওয়ায় ডেনিশ বাজারে বাংলাদেশের সাইকেলের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়বে বলেও আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিন টেকনোলজির অভিজ্ঞতা নিচ্ছে বাংলাদেশ। বুধবার বাংলাদেশে আয়োজিত গ্রিন গ্রোথ সম্মেলনে দেশটির ১৫টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।
ডেনমার্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটি সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। বাংলাদেশের কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম ডেনমার্ক সফর।
জানা যায়, দূতাবাস স্থাপিত হওয়ার দেড় বছরের মাথায় ডেনমার্কে এক হাজার স্কয়ার কিলোমিটার জায়গাজুড়ে চারতলা নিজস্ব ভবন কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রদূত মুহিত জানান, দূতাবাসের জন্য নিজস্ব ভবন কেনার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই নিজস্ব ভবন পাবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
জেপি/ওআর