ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ডিএসইতে ৮৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন

প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। লেনদেন হওয়া প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানই আগের দিনের তুলনায় দর হারিয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮৩ পয়েন্ট।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১৫৯ পয়েন্ট।

এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করতে থাকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দর হারাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত টানা নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকায় ডিএসইতে দর হারিয়েছে ৮৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।

রোববারের দরপতনের মধ্যে দিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে টানা চার কার্যদিবস পতন ঘটেছে। আর শেষ ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে পতন হয়েছে ১২ দিনই।

এর আগে টানা আট কার্যদিবস পতনের পর গত সপ্তাহের সোমবার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল শেয়ারবাজার। তবে একদিনের ব্যবধানেই তা আবার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।

রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫০৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৫৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে ৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা কম।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৭৪টি বা ৮৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে মাত্র ৩৩টির বা ১০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।

টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৪৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিডিকমের ১৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সিএসসিএক্স সূচক ১৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২০৯ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

লেনদেন হওয়া ২৩৫টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২৮টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির দাম।

এমএএস/এমএমএ/এএইচ/আরআইপি