ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কৃষিশিল্প বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:১২ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, কৃষিখাত এখনো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মোট জিডিপির শতকরা ১৫ শতাংশ এবং মোট শ্রমশক্তির ৪৫ ভাগ কৃষিখাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

রোববার রাজধানীর ফারস হোটেল অ্যান্ড গ্র্যান্ড রিসোর্টে ‘উৎপাদনশীলতার উন্নয়নের লক্ষ্যে পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা এবং কৃষক সমবায় সমিতির দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক পাঁচদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এস এম আশরাফুজ্জামান, এপিওর প্রতিনিধি মিজ. জিসু ইয়ান বক্তব্য দেন।

সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনকালে খাদ্য ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও নীতি সহায়তার ফলে দেশের কৃষিখাত সমৃদ্ধ হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে কৃষিপণ্য বিপণন এবং লাগসই প্রযুক্তির প্রসার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও কৃষক সমবায় সমিতির সক্ষমতার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও কৃষক সমবায় সমিতিগুলো উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে অনুঘটকের ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি কৃষি পণ্য বৈচিত্রকরণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরেও এদের ভূমিকা রয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোর প্রায় অভিন্ন অর্থনৈতিক চিত্রের প্রেক্ষাপটে তিনি কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত লেনদেন বৃদ্ধির তাগিদ দেন।

উল্লেখ, পাঁচদিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক কর্মশালায় কম্বোডিয়া, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, রিপাবলিক অব চীন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।

এসআই/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন