ডিএসইতে ১১০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
লেনদেনে খরা ও অব্যাহত দরপতন প্রবণতায় চলছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রতিদিনই কমছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। কমছে মূল্য সূচকও। দুই হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে যাওয়া লেনদেন কমতে কমতে চলে এসেছে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে।
গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দরপতন ঘটেছে। লেনদেন খরা দেখা দেয়ায় ডিএসইতে ১১০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটল। আর শেষ ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ১১ দিনই দরপতন হলো।
এর আগে টানা আট কার্যদিবস পতনের পর গত সোমবার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ারবাজার। তবে একদিনের ব্যবধানেই তা আবার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৫৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৮৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে ১২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বরের পর শেষ ১১০ কার্যদিবসে ডিএসইতে এত কম টাকার লেনদেন আর হয়নি।
মূল্য সূচক ও লেনদেন কমার সঙ্গে এ দিন ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরপতন হয়েছে। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯৬টির বা ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ারের দরপতন হয়েছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ৮৩টির বা ২৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির বা ১৪ শতাংশের দাম।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এসপিসিএল’র শেয়ার। এদিন কোম্পানির ২৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিজেন্ট টেক্সটাইলের ২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
দেশের অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সিএসসিএক্স সূচক ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে ৫৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৪১টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দাম।
এমএএস/আরএস/এএইচ/আরআইপি