প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণে জাইকা দেবে ৫০ কোটি টাকা
চট্টগ্রামে জাপানি ভাষা শিক্ষা এবং দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) জাইকা।
জাপান সফররত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে বুধবার এক বৈঠকে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিদেতোসি ইরিগাকি (Hidetoshi Irigaki) এ অর্থ সহাতার আশ্বাস দেন।
জাইকা কার্যালয়ে মন্ত্রী নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জাইকার পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের এ দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক হয়।
এ সময় উভয় দেশের দীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাপানের নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগিতাপূর্ণ ভূমিকা, বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে জাইকার সহযোগিতা ও ভবিষ্যতে জাপানের বিভিন্ন সেক্টরে প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানে জাপান সরকারের আগ্রহ ও পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, পর্যাপ্ত কর্মীস্বল্পতার জন্য জাপানের কৃষি, নির্মাণকাজ, কেয়ার গিভিংসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সেক্টরে বাংলাদেশি প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগে জাপান সরকার অত্যন্ত আগ্রহী। কেননা জাপানে বাংলাদেশিক কর্মীদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের যুবসমাজের দক্ষতা উন্নয়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চার দিনের সফরের প্রথম দিনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম জাপানের আইন মন্ত্রণালয়ের (Ministry of Justice) ভাইস মিনিস্টার হিরোমা কুরোকায়া (Hiromu Kurokawa), স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী গাকু হাসিমোতো (Gaku Hashimoto) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী জাপান-বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলাপ করেন। তিনি বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে তাঁদের ধারণা দেন।
জাপানের উভয় মন্ত্রী এ সময় আশ্বাস দেন, গত বছর নভেম্বরে জাপান সরকার টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম সম্পর্কিত একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে, যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাপান সরকারের সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হবে।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশি ইন্টার্নদের জাপানের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কারিগরি জ্ঞান অর্জন সম্ভব হবে এবং এসব কর্মীর জন্য জাপানে প্রবেশের পথ আরও উন্মুক্ত হবে।
জেপি/এসআর/পিআর