করের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বীমা শিল্প
বিভিন্ন ধরনের কর আরোপ দেশের বীমা শিল্পের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বীমা মালিক ও নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। সংগঠনটির দাবি, বীমার বিভিন্ন স্তরে যেভাবে কর আরোপ করা হয়েছে তাতে গ্রাহকরা বীমা করতে আসবে না। এজেন্টরা আগ্রহ হারাবেন। ফলে বীমা কোম্পানিগুলোর টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
বুধবার বিআইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বীমা কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন দাবি তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিআইএ’র সভাপতি শেখ কবির হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের যে দাবি সেগুলো অতীতেও করেছি। এখন আবার করছি। প্রত্যেকবার বাজেটের আগে আমরা একই দাবি করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছু পাইনি।
কবির হোসেন বলেন, আমাদের দাবিগুলো অর্থমন্ত্রী নীতিগতভাবে সমর্থন করেন। অর্থমন্ত্রীর অভিমত আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা উচিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) আমাদের দাবির সঙ্গে একমত। তারপরও আমরা কিছুই পাচ্ছি না। বীমা শিল্পের স্বার্থে আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা দাবিগুলো করেই যাব।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের সার্কুলার অনুযায়ী জীবন বীমা পলিসির ডিপোজিট হোল্ডারদের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স কর্তন করা হয়। আবার এজেন্টদের কমিশনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর এবং ৫ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। এতে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর ডিপোজিট পলিসি হোল্ডারদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং বীমা এজেন্টরা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে এসব বাধা দূর করার উপায় হিসেবে তিনি বলেন, ডিপোজিট হোল্ডারদের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স, এজেন্টদের কমিশনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর এবং ৫ শতাংশ উৎসে করের যে বিধান রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে বীমা কোম্পানির ব্যবসা কমতেই থাকবে এবং কোম্পানিগুলোর পক্ষে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বীমা শিল্পের উন্নয়নের বাধা দূর করতে আরও তিনটি দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে- পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট ট্যাক্সের হার অন্য খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ২৫ শতাংশ করতে হবে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলোকে ৪০ শতাংশ হারে কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। এ সময় করমুক্ত ডিভিডেন্ট আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ অংশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিআইএ’র সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, উন্নত দেশের জিডিপিতে বীমা কোম্পানির অবদান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে জিডিপিতে বীমার অবদান এক শতাংশও নয়। প্রণোদনা না দিলে এ শিল্প এগোবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইএ’র সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু, কার্যনির্বাহী সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, স্বদেশ লাইফের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, নিটল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মনিরুল হক, মেঘনা লাইফ ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পাভেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএএস/আরএস/ওআর/এমএস
সর্বশেষ - অর্থনীতি
- ১ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সমন্বিত পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন জরুরি
- ২ লক্ষ্মীপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি বাজুসের
- ৩ বিজিএমইএ প্রশাসক-তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশন প্রতিনিধিদলের বৈঠক
- ৪ সর্বাধুনিক মেশিনে আটা-ময়দা-সুজি উৎপাদন শুরু করলো প্রাণ
- ৫ রোববার থেকে ঢাকার ১৩ স্থানে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি