বিনা শুল্কে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ আমদানির দাবি
চোরাচালান রোধে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ বিনা শুল্কে আমদানির সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় বাজুস এ দাবি জানায়।
সভায় বাজুসের সহ-সভাপতি এনামুল হক শামীম জানান, যখন স্বর্ণের ভরিপ্রতি ৩০০ টাকা শুল্ক ছিল, তখন প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব পেত সরকার। কিন্তু ৩০০ টাকা থেকে এক লাফে শুল্ক ৩ হাজার টাকা করার পর স্বর্ণ থেকে তেমন রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। শুল্ক আরোপের কারণেই চোরাচালান বেড়েছে বলে মনে করেন তারা।
এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজস্ব দ্বিগুণ করতে ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বর্তমানে যাত্রীপ্রতি বিনা শুল্কে ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ২০০ গ্রাম স্বর্ণ আনার সুযোগসহ ক্রেতা পর্যায়ে স্বর্ণ ও রৌপ্যের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে আনার প্রস্তাব করা হয়।
এনামুল হক শামীম বলেন, স্বাধীনতার এতবছর পরও স্বর্ণকে বৈধতার ভেতর আনতে পারলাম না। এখনও ফেরিওয়ালাদের (ব্যাগেজ রুলসে বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনা ব্যক্তি) কাছ থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করতে হয়।
তিনি বলেন, জাতিকে স্বর্ণ চোরাচালানের কলঙ্ক থেকে মুক্তি দিতে এমন শুল্ক নির্ধারণ করতে হবে, যেন চোরাচালান নিরুৎসাহিত হয়। করের কাঠামো এমন করা উচিত যেন চোরাচালান করা স্বর্ণের দামের চেয়ে বাজারদর কম হয়। এতে স্বর্ণের স্বাভাবিক বাজার তৈরি হবে। রাজস্ব আদায়ও বেশি হবে।
বাজুসের এ নেতা বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে ৫০ হাজার লোক জড়িত। ভারতে চাহিদার ৮০ শতাংশ স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে যায়। বিনিময়ে ভারত থেকে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার ফেনসিডিল আসে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ৫০ শতাংশ ধনী দেশ থেকে স্বর্ণ কেনেন না। কারণ ভারতে গিয়ে তারা অল্প দামে স্বর্ণ কিনতে পারেন। সেখানে ভ্যাট দেড় শতাংশ। আমাদের দেশে ৫ ভ্যাট শতাংশ। দিন দিন ক্রেতা বাড়লেও এ শিল্পে নতুন কোনো বিনিয়োগ নেই। ভালো উদ্যোক্তারা এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখান না।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বাজুসের সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগওয়ালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএ/এসআর/জেএইচ/আরআইপি