ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ঋণ আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

খেলাপি ঋণে জর্জরিত এমন শীর্ষ ২০টি ব্যাংককে ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

জানা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি ২০টি ব্যাংকের ঋণ আদায়ের অগ্রগতি কম। ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর উপস্থিতিতে এসব ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি বৈঠক হয়।

ব্যাংকগুলো হলো- স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ওরি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও ব্যাংক অব সিলন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, যেসব ব্যাংক ঋণে জর্জরিত তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। কারণ ঋণে জর্জরিত হয়ে ব্যাংকগুলোর ক্যাপিটাল লস বা মূলধন ঘাটতি হতে পারে। ফলে ব্যাসেল ৩ বাস্তবায়ন থেকে পিছিয়ে পড়বে ব্যাংকগুলো। তাছাড়া তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে।

এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ঋণ আদায়ের অগ্রগতি কম এমন ২০টি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ব্যাংকগুলো যাতে হুমকির মধ্যে না পড়ে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ব্যাংকগুলোর শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

সভায় উপস্থিত একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি বিষয়ে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক ঋণ আদায়ের সক্ষমতায় পিছিয়ে তাদের ঋণ আদায় ইউনিট জোরদার করতে হবে।

এছাড়া যেসব ঋণের বিপরীতে মামলা অব্যাহত আছে সেগুলোর জন্য অর্থ ঋণ আদালতের অভিজ্ঞ আইনজীবী দ্বারা মামলাগুলো পরিচালিত করতে হবে। পাশাপাশি ঋণ আদায়ে টার্গেট নির্ধারণ ও প্রত্যেক কর্মকর্তাকে এ টার্গেটের আওতায় আনতে হবে। টার্গেট অর্জনকারী কর্মকর্তাকে ইনসেনটিভ বা পুরস্কৃত করার বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অন্যদিকে প্রতি তিন মাস অন্তর ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় অগ্রগতি প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। এর মধ্যে শ্রেণিকৃত ঋণ বা খেলাপি ঋণ, আদায়কৃত ঋণ, ঋণ অবলোপন বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এসআই/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন