বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে প্রয়োজন এফটিএ স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন দু’দেশের ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং মালয়েশিয়ার কুচিং চাইনিজ জেনারেল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রতিনিধিদলের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
মালয়েশিয়া সরকারের কৃষি আধুনিকায়ন বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ওয়াই বি এনসিক ম্যালকম মুসেন, প্রতিনিধিদলের নেতা ড. ক্রিস্টোফার গুই সু লিং এবং ৪০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দুটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলেও তা কাঙ্খিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।
তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি, শিক্ষা, পর্যটনসহ প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে ও মালয়েশিয়া একযোগে কাজ করতে পারে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১১৪ কেটি মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার রফতানির পরিমাণ যথাক্রমে ১৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার এবং ৯৫ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলার।
তিনি আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান শুল্ক নীতিমালা সংস্কার ও যুগপোযোগী করা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের জ্বালানি, ঔষধ, জাহাজ-নির্মাণ, ইলেকট্রনিক্স, তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী ওয়াই বি এনসিক ম্যালকম এ সময় বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট ও পাটজাত পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে মালয়েশিয়ায়। এছাড়া কৃষিজাত পণ্য, মশলা, আসবাবপত্র, নির্মাণসামগ্রী ও ডেইরি খাতের পণ্যও মালয়েশিয়ায় রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
প্রতিনিধিদলের নেতা ড. ক্রিস্টোফার গুই সু লিং বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে দু’দেশের চেম্বারগুলোর যোগাযোগ আরো বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মালয়েশিয়ায় পণ্য রফতানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিতকরণের বিষয়ে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের আরো মনোযোগী হওয়ারও আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক হোসেন খালেদ, প্রকৌশলী আকবর হাকিম, ইমরান আহমেদ, প্রাক্তন সহ-সভাপতি আবসার করিম চৌধুরী, এম আবু হোরায়রাহ্ ও মহাসচিব এ এইচ এম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এমএআর/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - অর্থনীতি
- ১ লক্ষ্মীপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি বাজুসের
- ২ বিজিএমইএ প্রশাসক-তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশন প্রতিনিধিদলের বৈঠক
- ৩ সর্বাধুনিক মেশিনে আটা-ময়দা-সুজি উৎপাদন শুরু করলো প্রাণ
- ৪ রোববার থেকে ঢাকার ১৩ স্থানে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি
- ৫ পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, সর্বোচ্চ দামে আলু