৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ করমুক্ত চায় আইসিএমএবি
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
রোবাবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে সহায়ক পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় আইসিএমবিএ এ প্রস্তাব দেয়।
এনবিআর আয়োজিত এ সভায় সিঅ্যান্ডএফ, শিপিং, ফ্রেইড ফরওয়ার্ডিং, ট্যাক্স ল’ইয়ার, ইনডেন্টর ২০১৭-২০১৮ সালের প্রাক-বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়।
আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট জামাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয়কর ৫ শতাংশ ব্যবধান আনা প্রয়োজন। অর্থাৎ বর্তমানে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিগুলো সাড়ে ৪২ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।
‘একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিদেশি কোম্পানিরগুলোর নগদ ২০০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব করছি।’
এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত কর মুক্ত আয় সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
সভায় ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশেনের প্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে সরকারি রাজস্ব চালান ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত শুধু সোনালী ব্যাংকে নেয়া হয়। এতে রির্টান দাখিলের সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। হয়রানি কমাতে ও রাজস্ব চালান সহজ করতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের তা গ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে কিছু কিছু ভুল ধারণা আছে, যা সত্য নয়। ব্যবসায়ীদের অনেক শিল্প ও আমদানি-রফতানিতে শূন্য শুল্ক হারে সুবিধা দেয়া আছে। নতুন আইনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বেশি সুবিধা দিতে কাজ করছি।
নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের সহায়তা চেয়ে নজিবুর রহমান বলেন, ‘১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে। ব্যবসায়ীদের বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে ১ বছর সময় দিয়েছেন।’
এসআই/এমএমএ/জেএইচ/আরআইপি