ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

অসম্ভবকে সম্ভব করেছে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা : শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৭

রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর কারখানার কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বুধবার আবুধাবির প্যারিস সরবুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফোকাস অন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ব উৎপাদন ও শিল্পায়ন সম্মেলন উপলক্ষে এ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকার ইনোভেশন এডিটর পল মারকিলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উইকো-টেক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ ডায়নার্স, ভিয়েতনাম ন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লি টিয়েন তোরাং, ইন্দোনেশিয়ার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান শ্রী রাজেকি ইসমানের প্রেসিডেন্ট আইওয়ান সেতিওয়ান লোকমিন্টোপ্যানেলিস্ট হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন।

প্যানেল আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের উদীয়মান অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক শিল্পখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ শিল্পে ৪৪ লাখেরও বেশি মানুষ সরাসরি কাজ করছে, যার শতকরা ৭৫ ভাগ নারী। এছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পখাতের ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প কারখানায় প্রায় ৫০ লাখ লোক জড়িত। সরকারের নীতিসহায়তা ও উদ্যোক্তাদের দৃঢ় মনোবলের ফলে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাতে রফতানি প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশে গত শতাব্দীর শেষ দিকে তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশ ঘটে। ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড়ের অধিকারী বাংলাদেশে বিপুল জনসংখ্যা, অভ্যন্তরীণ বাজার, সস্তা শ্রমশক্তি এবং সেলাই কাজে ঐতিহ্যগত দক্ষতা এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রেখেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির মধ্যে সিংহভাগ তৈরি পোশাক শিল্পখাত থেকে এসেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পখাতে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। বলে তিনি জানান।

এসআই/এএইচ/জেআইএম