নির্দেশনা না মানায় বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুনের ঘটনায় নির্দেশনা না মানার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ও কারণ অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠিত তদন্ত কমিটির এক সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবেদনের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজই (মঙ্গলবার) প্রতিবেদন জমা দেব। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে বৈদ্যুতিক কেটলি (ওয়াটার হিটার) ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই । কিন্তু নির্দেশনা লঙ্ঘন করে কেটলি নেয়া হয়েছে। তবে কমিটি তদন্ত করে দেখেছে, আগুনের ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০ তলা ভবন ব্যবহারের সময় থেকেই নির্দেশনা রয়েছে, সেখানে ইচ্ছেমতো কোন বৈদ্যুতিক ডিভাইস কিংবা এ ধরনের হিটার বা কেটলি ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ সেটি মানেনি। তারা কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই কেটলি ভিতরে নিয়েছে। এটা পুরোপুরি নির্দেশনা লঙ্ঘন।
অবহেলার কারণে বিভাগের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দায় নিতে হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তদন্ত কমিটি ভবিষ্যতে দুঘর্টনা এড়াতে বেশকিছু সুপারিশও করেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আগুনের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটিকে ২৮ মার্চ ও ফায়ার সার্ভিসের কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির প্রধান ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামাল। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লে. কর্নেল (অব.) মো. মাহমুদুল হক খান চৌধুরী ও তফাজ্জল হোসেন।
এসআই/এএইচ/ওআর/এমএস