ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণের অবদান রয়েছে

প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৭

দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণের অবদান রয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়বর্ধক কাজে সম্পৃক্ত করা হলে দারিদ্র্য বিমোচন টেকসই হবে। একইসঙ্গে সরকারের নানা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণও জরুরি।

শনিবার বিএফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক অনুষ্ঠানে সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এ অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. মোস্তাফিজ বলেন, ক্ষুদ্রঋণের বড় একটি সমস্যা হলো ঋণগ্রহীতারা কেউ কেউ একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে গিয়ে আবার অন্য একটি সংগঠন থেকে ঋণ নিচ্ছে যা তাদেরকে দারিদ্র্যচক্রেই আবর্তিত রাখছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণের সমস্যা দেখা গেলেও সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণের অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে এখনও দেড় কোটি লোক চরম দরিদ্র এবং তিন কোটি লোক দারিদ্র্য-সীমার নিচে বাস করছে। বর্তমানে জিডিপির ২.২ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় হলেও এই খাতে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ করা প্রয়োজন।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির উপকারভোগী নির্ধারণে কিছু অনিয়মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচি অন্তর্ভুক্তিমূলক না হলে সমাজে শ্রেণি-বৈষম্য বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, ৫০ লাখ মানুষকে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া কর্মসূচির ক্ষেত্রে যাদের পাওয়ার কথা তাদের কেউ কেউ অন্তর্ভুক্ত হননি আবার যাদের পাওয়ার কথা নয় তাদের অনেকেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

সভাপতির বক্ত্যব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দারিদ্র্য একটি অভিশাপ। এর থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা নিয়ে জিও-এনজিওগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও এর সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে ভিন্নমুখী বক্তব্য পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে ক্ষুদ্রঋণের যাতাঁকলে পড়ে অনেক দরিদ্র মানুষ তাদের সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে বসেছে। আবার অনেক দরিদ্র মানুষ ক্ষুদ্রঋণের উপকারভোগী হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্রও রয়েছে।

প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ ও সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা। শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

এমএ/বিএ/জেআইএম