ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক

প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পুরোপুরি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির আওতায় আনতে চাইছে সরকার। এজন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

এসব ব্যাংকে ঋণ আবেদন, ঋণ প্রস্তাব, ঋণ তদারকি ও আদায়, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ অডিট ও নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির আওতায় আনাই এর উদ্দেশ্য। ব্যাংকিং ব্যবসার বাইরে স্থায়ী সম্পদ, কেনাকাটা এবং বেতন ভাতার কার্যক্রমও তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আসবে। সরকার মনে করছে, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ কমে আসবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়ার জন্য প্রস্তাবিত আর্থিক খাত সহায়তা প্রকল্পের একটি অঙ্গ হিসেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে অটোমেশনের প্রস্তাব দেয় সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের একটি বিশেষজ্ঞ দল গত ফেব্রুয়ারিতে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে। যাচাইয়ের পর বিশ্বব্যাংক এটিকে আলাদা প্রকল্প হিসেবে প্রস্তাব দিতে বলেছে।

আর্থিক খাত সহায়তা প্রকল্পের (এফএসএসপি) ঋণ অনুমোদনের প্রস্তাব আগামী জুনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে উঠবে বলে জানা গেছে। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের কাছে সরকার ঋণ চেয়েছে ৩০ কোটি ডলার। আর্থিক বাজারের অবকাঠামো উন্নয়ন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি ক্ষমতা বাড়ানো এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশ্বব্যাংক সরকারকে জানিয়েছে, এফএসএসপি প্রকল্পের সমান্তরাল প্রকল্প হিসেবে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অটোমেশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা হিসাব করে দেখেছেন, একেকটি ব্যাংকের অটোমেশন এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যয় হবে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। প্রকল্প ব্যয় নির্ভর করবে মোট কতটি ব্যাংক এর আওতাভুক্ত হবে, তার ওপর। তবে বিশ্বব্যাংক রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী এবং বিশেষায়িত কৃষি, রাকাব ও বিডিবিএলের ওপর পর্যালোচনা করেছে। বেসিক ব্যাংককে প্রাথমিক এ পর্যালোচনার আওতায় রাখা হয়নি।

বিশ্বব্যাংকের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানার কিছু ব্যাংকে কোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের অটোমেশন শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক অবস্থায়। এর মানে, তাদের শাখাগুলো একে অন্যের সঙ্গে নেটওয়ার্কে ঢুকছে। যেসব শাখা এ নেটওয়ার্কের আওতায় আছে, তার গ্রাহকরা এর যে কোনো শাখায় টাকা জমা ও উত্তোলন করতে পারেন। দেখা গেছে, সোনালী ব্যাংকের ১২০০ শাখার মধ্যে মাত্র ১৫০ শাখা একে অন্যের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্কে সম্পর্কিত। রূপালীর এরকম শাখা মাত্র ১২টি।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের একটি মিশন আগামী অথবা তার পরের মাসে নতুন এ প্রকল্প প্রস্তাবের ওপর মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য আসবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের বর্তমান অবস্থার ওপর একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে। এ পর্যালোচনা হবে আর্থিক খাত সহায়তা প্রকল্পের কাঠামোর আওতায়।

একে/আরআই