ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

প্রকাশিত: ০৫:৪৬ এএম, ১০ মার্চ ২০১৭

এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম। আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম।

শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে শাক ও সবজির দাম।

রাজধানীর বাজারগুলোতে, দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

এদিকে আগের সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। মুরগির মাংসের বিক্রেতা অলি আহমেদ বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। হঠাৎ করে গতকাল (বৃহস্পতিবার) পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। আমাদের পাইপারি কিনতে হয়েছে ১৪০ টাকা দরে। এর মধ্যে বিভিন্ন খরচ রয়েছে। তাই আজ ১৫০ টাকা বিক্রি করছি। প্রতি কেজি কক মুরগি ২২৫ টাকা থেকে ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি করছি।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি গত সপ্তাহের দরে বিক্রি করছে। প্রতি কেজি সাদা আলু ১৪-১৮ ও লাল আলু ২০-২২ টাকা, বেগুন ৩২-৪০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ২০-৩০ টাকা, বাধাকপি ২৫-৩৫ টাকা, শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শিম প্রকারভেদে ২৫-৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২০-৩২ টাকা, মূলা ২০-৩০ টাকা, শশা ও খিরা ২০-৩২ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিচ ১৫-২০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৪০-৫০ টাকা, মটরশুটি ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০-৩২ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি করছে। কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা।

প্রতি আঁটি লাউ শাক ২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ও ডাটা শাক ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২০-২৮ টাকা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

রাজধানীর খুচরা মাছ বাজারে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম। মাছ বিক্রেতা রবিউল বলেন, বাজারে সরবারহ বেশি থাকলে দাম কমে আর কম থাকলে দাম বাড়ে। আজকে বাজারে কেনার রেট (দাম) বেশি পড়েছে তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ৩৬০-৪০০ টাকা, কাতলা ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-২০০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৬০০ টাকা, মেনি মাছ ৩৫০-৪০০, বাইলা মাছ প্রকার ভেধে ২৫০-৪০০ টাকা, বাইন মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪৫০-৮০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৭০০, দেশি মাগুর ৪০০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৩৫০-৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা ও চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম গত সপ্তাহের দামে অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪৬ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৪-৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খোলাবাজারে লিটার প্রতি বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১০৭ টাকা ও খোলা সোয়াবিন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৩৭-৪০ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫৫ টাকা, পাইজম ৪২ থেকে ৪৬ টাকা, নাজির শাইল ৪৫-৬০ টাকা ও বিআর আটাশ ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী মো. মিজান বলেন, মাছ-মাংস সবকিছুর দামইতো বেশি। কতদিন বিক্রি না করে গরুর মাংসের দাম বাড়ালো কসাইরা। সেই ৪৮০ টাকা দামেই গরুর মাংস বিক্রি করছে। আজ মুরগির দামও বেড়েছে। আমাদের আয় সীমিত। দাম বাড়লে মাছ মাংস কম খেতে হয়। এছাড়া কিছু করার নাই।   

এসআই/এআরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন