মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য থেকে ২৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়
পানগাঁও বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা পৃথক ২ কন্টেইনার খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষার পর প্রায় ২৩ লাখ টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ডিজি ড. মইনুল খান বলেন, ঢাকা বেগমবাজারের আমদানিকারক ‘মাহমুদ ট্রেডিং’ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য ঘোষণায় পণ্য আমদানি করে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স ইএইচ ট্রেডিং গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিল অব এন্ট্রি (সি৪০৪) দাখিল করে।
আরেকটি চালানে ঢাকার গুলশানের আমদানিকারক কবির ট্রেডওয়েজ’ মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য ঘোষণায় পণ্য আমদানি করে। তাদের পক্ষেও একই সিঅ্যান্ডএফ একই তারিখে বিল অব এন্ট্রি (সি ৪০৯) দাখিল করে।
গোপন সংবাদ পেয়ে শুল্ক গোয়েন্দারা আমদানিকৃত কন্টেইনার দুটি পুন:কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষিত ও প্রাপ্ত পণ্যের এইচএসকোড বর্ণনা ও পরিমাণে ব্যাপক অনিয়ম পায়।
আমদানিকারকের ঘোষণা এবং প্রথম কায়িক পরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪০৪ নম্বর বিল অব এন্ট্রির শুল্কায়িত কর ধার্য করা হয় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক পুন:পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩ লাখ টাকা জরিমানাসহ এই চালানের প্রযোজ্য শুল্ক করাদি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। অতিরিক্ত শুল্ক করের পরিমাণ প্রায় ১৮ লাখ টাকা।
একইভাবে, ৪০৯ নম্বর বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী প্রথম কায়িক পরীক্ষা অনুযায়ী শুল্ককর ধার্য করা হয় প্রায় ৪.৬৭ লাখ টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে, শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানাসহ প্রযোজ্য শুল্ক করনির্ধারণ করা হয় প্রায় ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এতে অতিরিক্ত শুল্ককরের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ টাকা বেড়েছে।
পণ্য চালান দুটিতে প্রাথমিকভাবে ধার্যকৃত শুল্ককরাদি প্রায় ১০ লাখ টাকার স্থলে আমাদনিকারকরাণ প্রায় ৩১ লাখ ৫ হাজার টাকা শুল্ক করাদি পরিশোধ করেন। শুল্ক গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে প্রায় ২১ লাখ টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে।
অতিরিক্ত শুল্ককর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দুটি এই মিথ্যা ঘোষণা দেয়। পানগাঁও বন্দরে যারা এই পণ্য খালাসে জড়িত ছিলেন তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে শুল্ক গোয়েন্দা।
জেইউ/এমএমজেড/আরআইপি