দেশীয় পাটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে
দেশীয় পাটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান বলেছেন, ইউরোপ আমেরিকায় পাটের ক্যানভাস বেশ সমাদরের সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের পাটে তৈরি ক্যানভাসকে আমরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে পারি।
শুক্রবার বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায় ৩ দিনব্যাপী ‘পাটের ক্যানভাসে বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের বাহারি পাটপণ্য আছে। ঠিকঠাক নিজেদের সম্পর্কে ব্যবহার করতে পারাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। পাটের ওপর এ ধরনের আয়োজন বাংলাদেশে এই প্রথম। এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শিল্পকলায় পাটের ব্যবহারের যে সেতুবন্ধ তৈরি হলো, তা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর মধ্যে দিয়ে চারুকলা শিক্ষার্থী ও তরুণ শিল্পীরা ক্যানভাস হিসেবে পাটকে বেছে নিতে উৎসাহিত হবে।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়ীদ বলেন, ক্যানভাস হিসেবে পাটের ব্যবহার দেশের তরুণদের মধ্যে পাটপণ্যকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তরুণরা সবসময়ই নতুন কিছু করে। পাট নিয়ে তরুণদের নতুন এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এ ধরনের প্রদর্শনী প্রতি বছর আয়োজিত হবে, সেই প্রত্যাশা রইলো।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান পাটের লড়াইর প্রতিষ্ঠাতা নাসিমুল আহসান জানান, দেশ ও দেশের বাইরের শিল্পীদের মাঝে পাটের ক্যানভাসকে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা সাধারণ মানুষকে পাট ও পাটপণ্যের প্রতি উৎসাহি করে তুলতে চাই।
প্রদর্শনীতে দেশের তরুণ ১৮ শিল্পীর মোট ৩৫টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। এছাড়া স্কুল পড়ুয়া ৩৬ শিশুশিল্পীর চিত্রকর্ম এতে প্রদর্শিত হচ্ছে। সরকার ঘোষিত জাতীয় পাট দিবসকে সামনে রেখে আয়োজিত এ চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে চটের উপর আঁকা চিত্রকর্মগুলোতে বাংলাদেশের প্রকৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে।
প্রদর্শনীটি চলবে ৫ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ‘পাটের ক্যানভাসে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীটি ভুবনজয়ী চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
এইউএ/জেএইচ/পিআর