ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে নতুন মুদ্রানীতি

প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ০২ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতির (জানুয়ারি-জুন) কারণে বেসরকারি খাতে বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে ঘোষিত মুদ্রানীতির এ বিশেষ সুযোগ নিতে শুরু করেছে। বেসরকারি খাত সহায়ক এমন মুদ্রানীতির কারণে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মিলনায়তনে মুদ্রানীতি (জানুয়ারি-জুন) শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মো. আখতারুজ্জামান।  বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলীর সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার সূচনা বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

মূল আলোচক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাংক ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। গত ১৫ বছর ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি খাত  বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাবে।  

তিনি বলেন, সরকার বাজেটে ঘোষণা দিয়েও প্রয়োজন না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ নিচ্ছে না। এ কারণে আরও ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন দিনে দিনে আরও বাড়ছে। তবে পুরনো খেলাপি ঋণের বোঝা এখনও ব্যাংকগুলোর ঘাড়ে চেপে আছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ব্যাংকগুলোর আরও নজরদারি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি অনেক ব্যালান্স করে তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকের অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে সমালালোচনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতে হস্তক্ষেপ করেছে। তবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যাংকের অর্থ নয় বরং দরকার বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন।  

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ব্যাংকিং খাতে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকে বেশ আগ্রাসী। অন্য ব্যাংকের ঋণ কিনে নেয়ার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। কিন্তু এ ধরনের কার্যক্রমে বিপদও আছে অনেক।

মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা সরকারের ঋণ নেয়ার একটি ক্যালেন্ডার তৈরির ওপর জোরারোপ করেন। তারা বলেন, সরকারের ঋণের কোন সূচি না থাকায় ঝুঁকিতে পড়ছে ব্যাংকগুলো। কোন ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ বড় অঙ্কের ঋণ নিচ্ছে ব্যাংকিং খাত থেকে। এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।

এমএ/ওআর/জেআইএম