ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় জরুরি

প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ০১ মার্চ ২০১৭

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বেসরকারি খাত ও সরকারের খাতের অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য। একইসঙ্গে, আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক সেবাখাতে নতুন নতুন ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত “এসডিজি থেকে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়িক সম্ভাবনার কৌশল নির্ধারণ” বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ১৪৬৬ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয়ের ফলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জসমূহ ব্যবসায়ে নতুন নতুন খাত তৈরির সম্ভাবনা জাগিয়েছে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৭, ৮, ৯, ১২, ১৪ এবং ১৭ নম্বর লক্ষ্যসমূহ সরাসরি ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা বেসরকারি খাতের জন্য আসাব্যঞ্জক।

তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে বর্তমানে বিদ্যমান সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমান এবং ট্যাক্স ও জিডিপির অনুপাত বাড়াতে হবে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, আঞ্চলিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং পিপিপি কার্যক্রম বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাত ও সরকারের অংশীদারিত্ব যথাক্রমে ৭০ ও ৩০ শতাংশ। তাই এ লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য।

তিনি বলেন, এসডিজির লক্ষ্য বাস্তাবয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে কৌশলপত্র প্রণয়নে কাজ করছে এবং আগামী এপ্রিলের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। তিনি এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যবসার খাতভিত্তিক টাক্সফোর্স গঠনের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাংক হতে সরকারের স্বল্পঋণ গ্রহণ এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বিগত কয়েক দশক যাবত আমরা সারাবিশ্বে বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক অরাজকতা লক্ষ্য করছি। তিনি সত্যিকার অর্থে দারিদ্র বিমোচনে বর্তমানে ব্যবহৃত উন্নয়নের মডেলসমূহ সংষ্কারের পরামর্শ প্রদান করেন।

ড. জিল্লুর বলেন, এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তিনি সামাজিক সেবাখাতে নতুন নতুন ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য এনজিওগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। যা ভবিষ্যতে অনেক সুফল বয়ে আনবে।

ড. জিল্লুর আরও বলেন, গত ২৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রখেছে, কিন্তু সামনের দিনগুলোতে কৃষিখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে কৃষিখাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগী হতে হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ৩টি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো হলো- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নয়ন, সামাজিক ঐক্য এবং পরিবেশের সংরক্ষণ।

মুক্ত আলোচনায় ঢাকা চেম্বারের পরিচালক খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, খ. আতিক-ই-রাব্বানী, এফসিএ, আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী, পিআরআইপি ট্রাস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক আরোমা দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি অনিমেষ তাজু, অ্যাকশনএইড কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানাইজেশন স্ট্রাটিজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান, অক্সফাম-এর প্রাইভেট সেক্টর কোঅর্ডিনেটর মো. আনিসুর রহমান চৌধুরী, আইসিসি-বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আতাউর রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরউল্ল্যাহ চৌধুরী অংশগ্রহণ নেন।

এমএ/বিএ